রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে কী বললেন বৃদ্ধ মহিলা?
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা, ২৯ জানুয়ারি : উত্তরবঙ্গ সফরে আসা কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী রবিবার বিকেলে জলপাইগুড়িতে এক অদ্ভুত পরিস্থিতির মুখোমুখি হলেন। রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে কয়েক ডজন মহিলা এখানে এসেছিলেন। এসব নারী জানান, তারা বৃদ্ধ ও নিঃস্ব। তা সত্ত্বেও তারা বার্ধক্য পেনশন পান না। মহিলারা জানান, তাঁরা জানতে পারেন ইন্দিরার নাতি এবং রাজীবের ছেলে এসেছেন। সেজন্য সে তার আবেদন নিয়ে এখানে এসেছে। এই মহিলাদের আবেদন গ্রহণ করে রাহুল গান্ধী আশ্বাস দিয়েছেন যে তিনি এই বিষয়টি সংসদে তুলবেন।
তথ্য অনুযায়ী, রবিবার জলপাইগুড়ির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল রাহুল গান্ধীর যাত্রা। এদিকে, রাহুল গান্ধী যখন পোস্ট অফিসের মোড়ে ৭০ টিরও বেশি বয়স্ক মহিলাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন, তখন তিনি থামেন এবং তাদের সুস্থতা সম্পর্কে জানতে চান। মহিলারা জানান, তাঁরা সবাই পাশের শানুপাড়ার বাসিন্দা। এই নারীদের একজন ননিবালা বলেছিলেন যে তার বয়স ১০৫ বছর। বর্তমানে তিনি তার মেয়ের দয়ায় বেঁচে আছেন। সরকার তাদের বার্ধক্য পেনশন দেয় না।
তিনি যদি এই পেনশন পেতেন তাহলে তার জীবন চালানো সহজ হয়ে যেত। নানিবালা জানান, গ্রামে তাকে বলা হয়েছিল রাজীব গান্ধীর ছেলে এবং ইন্দিরা গান্ধীর নাতি এসেছেন। সেজন্য সে তাদের গল্প বলতে এসেছে। একই অভিযোগ করেছেন গ্রামের অন্য মহিলারাও। তিনি একাধিকবার আবেদন করলেও সরকার তা শোনেনি বলে জানান। এখন রাহুল গান্ধীর কাছ থেকে আশা করা হচ্ছে তিনি তাদের সমস্যার সমাধান করবেন। এই কথা শোনার পর রাহুল গান্ধী মহিলাদের সঙ্গে নিজের পরিচয় করিয়ে দেন।
তিনি বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় পঞ্চায়েতে তাদের সমস্যা তুলে ধরবেন এবং সমাধানের চেষ্টা করবেন। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, সকাল থেকেই এই সমস্ত মহিলা পোস্ট অফিস মোড়ে পৌঁছেছিলেন। প্রায় তিন ঘণ্টা অপেক্ষার পর কনভয়টি এখান দিয়ে যেতে শুরু করলে তাদের অপেক্ষারও অবসান হয়। তাঁদের এভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে রাহুল গান্ধী নিজেই থেমে তাঁদের কাছে গিয়ে তাঁদের সমস্যার কথা জিজ্ঞেস করেন। অন্যদিকে, জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহকারী সভানেত্রী সীমা চৌধুরী বলেছেন যে তিনি এই বিষয়ে অবগত নন। তিনি সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারেন। সমস্যা সমাধান প্রকল্পের আওতায় শিগগিরই এসব নারীর সমস্যার সমাধান করা হবে।
No comments:
Post a Comment