জলে থাকা পিলার বসানো হয় এভাবে - Breaking Bangla |breakingbangla.com | Only breaking | Breaking Bengali News Portal From Kolkata |

Breaking

Post Top Ad

Sunday 14 January 2024

জলে থাকা পিলার বসানো হয় এভাবে

 


জলে থাকা পিলার বসানো হয় এভাবে 


ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৪ জানুয়ারি : দেশে নদী ও সাগরের ওপর নির্মিত বড় বড় সেতু নিশ্চয়ই দেখেছেন।  চলুন জেনে নেই কীভাবে এই সেতুগুলি এবং তাদের পিলারগুলি জল থামানোর জন্য তৈরি করা হয়-


 কিভাবে সেতু তৈরি হয়?


 নদী ও সাগরের ওপর নির্মিত সেতুর কাজ অন্যত্র করা হয়।  কোথা থেকে এসব জিনিস পত্র আসে।  এর পরে তা স্তম্ভের উপর স্থাপন করা হয়।  সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ভাষায় এগুলোকে বলা হয় প্রি-কাস্ট স্ল্যাব।  এই প্রি-কাস্ট স্ল্যাবগুলি পিলারগুলির সাথে সংযুক্ত করে একটি সেতু তৈরি করা হয়।  একই স্থানে পিলার তৈরির কাজ করা হয়।  এতে প্রথমেই হয় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কাজ।  পুরো প্রকল্পের আকারের উপর ভিত্তি করে ভিত্তি পরিকল্পনাও আগাম তৈরি করা হয়।


 নদীর নিচে সেতুর ভিত্তি:


নদী এবং সমুদ্রের উপর সেতু নির্মাণের সময়, জলের মাঝখানে যে ভিত্তি স্থাপন করা হয় তাকে কফেরডাম বলা হয়।  এটি ধাতু দিয়ে তৈরি একটি বিশাল ড্রাম।  ক্রেনের সাহায্যে পিলারের জায়গায় কোফরডামটি জলের নিচে রাখা হয়েছে।  আগে মাটির বাঁধ তৈরি করে জলের প্রবাহকে সরিয়ে দেওয়া হতো বা বন্ধ করা হতো।  কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা ছিল।  কিন্তু এখন কফারড্যাম স্টিলের বড় শীট দিয়ে তৈরি করা হয়।  তাদের আকৃতি প্রয়োজন অনুযায়ী বৃত্তাকার বা বর্গাকার হতে পারে।  সেতুর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, জলের গভীরতা এবং জলের প্রবাহের ভিত্তিতে তাদের আকার নির্ধারণ করা হয়।


 কীভাবে ইস্পাত cofferdams কাজ করে:


 কফরড্যামের কারণে এর আশপাশ থেকে জল প্রবাহিত হয়।  কফরড্যাম জলে ভরে গেলে পাইপের মাধ্যমে বের করে আনা হয়।  এর নিচে মাটি দেখা গেলে প্রকৌশলীরা এর ভেতরে গিয়ে কাজ শুরু করেন।  তারপর প্রকৌশলীরা সিমেন্ট, কংক্রিট এবং বার ব্যবহার করে মজবুত পিলার তৈরি করেন।  এরপর অন্য জায়গায় তৈরি সেতুর প্রি-কাস্ট স্ল্যাব এনে পিলারের ওপর বসানো হয়।


 গভীর জলে স্তম্ভগুলি কীভাবে তৈরি হয়:


 জল খুব গভীর হলে, cofferdams দরকারী নয়।  এ জন্য গভীর জলের তলদেশে গিয়ে গবেষণা করে কিছু পয়েন্ট ঠিক করা হয়।  এর পরে, সেই পয়েন্টগুলির মাটি স্তম্ভ তৈরি করার জন্য যথেষ্ট শক্ত কিনা তা পরীক্ষা করা হয়।  প্রয়োজন অনুযায়ী মাটি উপযুক্ত বলে মনে হলে নির্ধারিত পয়েন্টে গভীর গর্ত তৈরি করা হয়।  এর পরে, গর্তে পাইপ ঢোকানো হয়।  এগুলি সমুদ্রপৃষ্ঠ বা নদীর তলদেশের উপরে আনা হয়।  এরপর জল নিষ্কাশনের পর পাইপে সিমেন্ট কংক্রিট ও স্টিলের বারের নেটওয়ার্ক ঢুকিয়ে পিলার তৈরি করা হয়।  পিলার তৈরির পর প্রি-কাস্ট স্ল্যাবগুলো এনে ঠিক করা হয়।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad