এই ঘাটে বসে ভূতের মেলা
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২৭ নভেম্বর : কার্তিক পূর্ণিমায়, লক্ষ লক্ষ ভক্ত পূজা ও স্নানের জন্য কোনহারা ঘাটে আসেন। রবিবার রাত থেকেই ঘাটে ভক্তদের ভিড় জমে যায়। কেন জানেন? কারণটা একটু অন্য, চলুন জেনে নেই-
বিহারের হাজিপুরের কোনহারা ঘাটে ভূতের মেলা বসে। প্রতি বছরের মতো এবারও কার্তিক পূর্ণিমায় এমনই এক অপরূপ ভুবন দেখা গেল রবিবার (২৬ নভেম্বর) রাতে। একদিকে এটিকে কুসংস্কার হিসেবে বিবেচনা করা হয়, অন্যদিকে তান্ত্রিকরা বলছেন এটি মহাদেবের কৃপা।
কার্তিক পূর্ণিমা উপলক্ষে সারা বিহার থেকে তান্ত্রিকরা কোনহারা ঘাটে পৌঁছান। তান্ত্রিকের দাবি, মন্ত্র জপে যেকোনও রোগ নিরাময় করা যায়।
রাতে কোনহারা ঘাটে কয়েকজন তান্ত্রিকের সঙ্গে কথা বললে জানা যায় নানা কথা। তারমধ্যে এক প্রশ্নে, জ্বর বা ব্যথা হলে কি ঠিক হবে জানতে চাইলে, এতে তান্ত্রিক আশ্বস্ত করেন যে একেবারে ঠিক হয়ে যাবে। মন্ত্রটি জপ করতে হবে এবং যজ্ঞের ভস্ম প্রয়োগ করে সবকিছু ঠিক হবে।
কনহারা ঘাটে জ্বলন্ত চিতায় যজ্ঞ করছিলেন এক তান্ত্রিক। ক্যামেরা দেখে তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে করতে বৈদ্যুতিক বাল্বের গ্লাস চিবাতে শুরু করেন। তান্ত্রিক বললেন, মহাদেবের কৃপায় এসব হচ্ছে। জনগণের কল্যাণে এটা করতে হবে।
ঘাটে একের পর এক ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। কোথাও কোথাও মানুষকে কুসংস্কারে ডুবে তান্ত্রিকদের সঙ্গে ভূতের খেলা করতে দেখা গেছে, আবার কিছু জায়গায় মানুষকে তাদের পালা আসার অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। এই খেলা চলে সারারাত।
এখানে কার্তিক পূর্ণিমাকে সামনে রেখে হাজীপুর থেকে ব্রিজ ঘাট পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরত্বে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। স্নানের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যারিকেডিং করা হয়েছিল। প্রতি বছরের মতো এবারও লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়েছে।
এটি সেই কোনহারা ঘাট যেখানে গজ এবং গ্রহের মধ্যে যুদ্ধ হয়েছিল। গ্রহ যখন গজকে জলে নিমজ্জিত করছিলেন, তখন ভগবান বিষ্ণু স্বয়ং গজের প্রার্থনায় আবির্ভূত হন। আর গজের জীবন বাঁচান। এরপর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় কোনহারা ঘাট।
No comments:
Post a Comment