আমাদের দেশের এখানে রয়েছে ডায়মন্ড রিভার, এই নদীতে হীরের পাশাপাশি অন্যান্য রত্নও পাওয়া যায়
মৃদুলা রায় চৌধুরী, ০৯ সেপ্টেম্বর : আমাদের দেশ নদীমাতৃক দেশ। এখানে নদীগুলিকে দেবীর মতো পূজিত করা হয়, তাদের মা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। আসলে নদীই এই দেশকে সমৃদ্ধ করেছে। দেশে এমন এক নদী আছে যা কেবল ক্ষেতে সেচই করে না, বরং হীরা এবং অন্যান্য ধরণের রত্নও দেয়। চলুন জেনে নেই ডায়মন্ড রিভারের কথা-
সেই নদী কোনটি :
অন্ধ্র প্রদেশে রয়েছে এই নদী। এর নাম কৃষ্ণা নদী। এই নদী অত্যন্ত পবিত্র। কথিত আছে এই নদীর তীরে কুল্লুর খনি থেকে কোহিনূর পাওয়া গিয়েছিল। একই সময়ে, এখান থেকে বিশ্বের দশটি বড় হীরার মধ্যে সাতটি বেরিয়ে এসেছে। এই নদীর জল যায় অন্ধ্রপ্রদেশের সঙ্গে আরও চারটি রাজ্যে। এটি চতুর্থ বৃহত্তম নদী, তবে হীরা খননের ক্ষেত্রে এই নদীটি শীর্ষে রয়েছে। এই নদীতে হীরের পাশাপাশি অন্যান্য রত্নও পাওয়া যায়।
কীভাবে এই হীরা মুঘলদের হাতে এল:
বাবরের আত্মজীবনী বাবুরনামায় এই হীরাটির উল্লেখ আছে। এতে লেখা আছে পানিপথের যুদ্ধের পর হুমায়ুন যখন আগ্রা জয় করেন, সেই সময় গোয়ালিয়রের এক রাজা হুমায়ুনকে একটি বড় হীরা উপহার দিয়েছিলেন। হুমায়ুন পরবর্তীতে এই হীরাটি তার বাবা বাবরকে দিয়েছিলেন। পরে বাবর যখন তার ময়ূর সিংহাসন তৈরি করেন, তখন তিনি এই হীরাটি এতে গেঁথে দেন।
কোহিনূর এত ছোট হল কীভাবে :
কথিত আছে যে যখন এই হীরাটি মুঘলদের হাতে ছিল, তখন এর আকার ছিল প্রায় ৭৯৩ ক্যারেট। কিন্তু আওরঙ্গজেবের হাতে ক্ষমতা এলে তিনি এই হীরাটি খোদাই করার জন্য ভেনিস শহরের হর্তোস বোরগিয়াকে দেন। বোরগিয়া এতটাই বেপরোয়াভাবে এটি খোদাই করে যে এর আকার মাত্র ১৮৬ ক্যারেটে নেমে যায়। এতে আওরঙ্গজেব খুবই ক্ষুব্ধ হন এবং তাঁকে ১০,০০০টাকা জরিমানা করেন।
No comments:
Post a Comment