রাতের খাবারের পর এই ভুলগুলো করা এড়িয়ে চলতে হবে

রাতের খাবারের পর এই ভুলগুলো করা এড়িয়ে চলতে হবে 

ব্রেকিং বাংলা হেলথ ডেস্ক, ১৫ সেপ্টেম্বর : রাতের খাবারের পরপরই কিছু অভ্যাস আছে যা অনেকেই অজান্তে করে ফেলেন যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয় এবং ওজন কমানো কঠিন করে তোলে।  রাতের খাবারের পর বিশ্রাম ও শিথিলতা পরিহার করতে হবে।  খাওয়ার পরপরই ঘুমলে ওজন বাড়তে পারে।  চলুন জেনে নেই রাতের খাবারের পরে আমাদের কী ভুল করা উচিৎ নয়-

 অবিলম্বে শুয়ে পড়া :

 রাতের খাবারের পরপরই শুয়ে পড়া একটি সাধারণ ভুল যা অনেকেরই হয়ে থাকে, তবে তা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়।  রাতের খাবার খেয়ে আমরা যখন সোজা হয়ে শুয়ে থাকি, তখন পেটে খাবার হজমের প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।  আমরা যখন দাঁড়িয়ে থাকি বা বসে থাকি তখন মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে খাবার সহজে হজম হয়।  কিন্তু শুয়ে থাকলে এই প্রক্রিয়াটি ধীর হয়ে যায়, যার কারণে খাবার হজম হতে পারে না এবং অ্যাসিডিটি, গ্যাস, বদহজমের মতো সমস্যা হতে পারে।  তাই রাতের খাবারের পর অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা বা কিছুক্ষণ বসে কথা বলা উচিৎ।  এটি হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে সাহায্য করবে।

জল পান :

 খাবার খাওয়ার সাথে সাথে জল পান করলে পরিপাকতন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়ে এবং খাবার ঠিকমতো হজম হয় না।  রাতের খাবারের পরে জল পান করা একটি সাধারণ ভুল ধারণা যা মানুষ প্রায়শই হজমে সাহায্য করার জন্য করে, কিন্তু বাস্তবে এটি আমাদের জন্য উপকারী নয়।রাতের খাবারের পরে জল পান করা পেটে খাবার হজম প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে।  জল খাবারকে পাতলা করে এবং পাচক রসের সাথে মিশে যেতে বাধা দেয়। রাতের খাবারের কমপক্ষে ১-২ ঘন্টা পরে জল পান করা উচিৎ।

 ফল:

 রাতের খাবারের পর ফল খাওয়া অনেকেরই একটি সাধারণ অভ্যাস, তবে তা আমাদের পরিপাকতন্ত্রের জন্য ভালো নাও হতে পারে।  রাতের খাবারের পর ফল খাওয়া পেটে খাবার হজম প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে কারণ ফলগুলিতে ফাইবার এবং চিনি থাকে যা হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়।  এ ছাড়া কিছু ফল যেমন নাশপাতি, আম ইত্যাদিতে উচ্চমাত্রার অ্যাসিডিটি থাকে যা অ্যাসিডিটির কারণ হতে পারে।  রাতের খাবারের কমপক্ষে ১-২ ঘন্টা আগে বা পরে ফল খাওয়া উচিৎ।

 চা বা কফি পান করা:

 অনেকেরই রাতের খাবারের পর চা বা কফি পানের অভ্যাস থাকলেও তা আমাদের পরিপাকতন্ত্রের জন্য ভালো নয়।  চা এবং কফিতে ক্যাফেইন থাকে, যা পাকস্থলীর অ্যাসিড উৎপাদন বাড়ায়।  এতে অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে।  উপরন্তু, চায়ে ট্যানিন থাকে যা আয়রন শোষণকে বাধা দেয়।  এটি হজম প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে।