মিউচুয়াল ডিভোর্স-এর নিয়ম
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ১১ সেপ্টেম্বর : বর্তমানে দেশসহ সারা বিশ্বে পারস্পরিক বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা বাড়ছে। সম্প্রতি এই শব্দটি আলোচনায় আসে যখন জনপ্রিয় ইংলিশ গায়ক জো জোনাস এবং গেম অফ থ্রোনস অভিনেত্রী সোফি টার্নার পারস্পরিক সম্মতিতে মিউচুয়াল ডিভোর্স-এর সিদ্ধান্ত নেন। চার বছর আগে তাদের বিয়ে হয়েছিল এবং এখন তারা দুজনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা আলাদাভাবে জীবনযাপন করবে। দেশে অনেক দম্পতি এভাবে মিউচুয়াল ডিভোর্স নিয়েছেন। বিশেষ করে বলিউডে এমন অনেক ঘটনা দেখা যায়। আসুন মিউচুয়াল ডিভোর্স কী -
মিউচুয়াল ডিভোর্স কি?
এটি একটি বিবাহ শেষ করার সবচেয়ে সহজ এবং শান্তিপূর্ণ উপায়। এতে স্বামী-স্ত্রী নিজেদের ইচ্ছামত কিছু শর্তে একে অপরের থেকে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অনেক সময় এই ডিভোর্স-এর ক্ষেত্রে কোনো শর্ত থাকে না। অন্যদিকে, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বিবাহবিচ্ছেদ রয়েছে, যা বেশ জটিল এবং দুজনকেই পক্ষকেই আইনি ঝামেলায় পড়তে হয়। এই কারণেই এখন মিউচুয়াল ডিভোর্স উচ্চ শ্রেণীর পরিবারে অর্থাৎ ধনীদের মধ্যে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
দেশে এই সংক্রান্ত নিয়ম :
বিবাহ এবং বিবাহবিচ্ছেদের বিষয়ে বিভিন্ন ধর্মের নিজস্ব বিবাহ আইন রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, যদি একজন হিন্দু তার বিয়েতে খুশি না হন এবং বিবাহবিচ্ছেদ পেতে চান, তাহলে তাকে বিবাহ আইন ১৯৫৫ অনুসরণ করতে হবে। অন্যদিকে, যদি একজন খ্রিস্টান তার বিয়েতে খুশি না হন এবং বিবাহবিচ্ছেদ পেতে চান, তবে তারা ভারতীয় খ্রিস্টান বিবাহ আইন ১৮৭২ এবং খ্রিস্টান বিবাহবিচ্ছেদ আইন ১৮৬৯ এর অধীনে একে অপরের থেকে আলাদা হবে।
বিবাহবিচ্ছেদে ভরণপোষণের জন্য কিছু বিষয় বিবেচনা করা জরুরি। যেমন- অর্থ প্রদানকারী পত্নীর আর্থিক অবস্থা কেমন। ভরণপোষণ চাওয়া পত্নীর চাহিদা কি এবং কত? ভরণপোষণ চাওয়া পত্নীর আয় কি? যেখানে অনেক ক্ষেত্রে আদালত স্বামীর আয় বা স্ত্রীর আয়ের এক-চতুর্থাংশ অন্য অংশীদারকে ভরণপোষণের জন্য দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
No comments:
Post a Comment