শীর্ষ সম্মেলনে কী থাকছে খাবারে?

 

 শীর্ষ সম্মেলনে কী থাকছে খাবারে?

 

ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৯ সেপ্টেম্বর : জি- ২০ শীর্ষ সম্মেলন ভেন্যুতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বিদেশী অতিথিদের জন্য একটি নৈশভোজের আয়োজন করেছেন।   শনিবার ৮ সেপ্টেম্বর নৈশভোজের আয়োজনে বিশেষ খাবারের তালিকা তৈরি করা হয়েছে।  যেটিতে চাঁদনী চকের স্বাদ থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সুস্বাদু খাবারের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক জি-২০ গালা ডিনারের মেন্যুতে কী রয়েছে-

 প্রাতঃরাশ থেকে শুরু করে দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবার পর্যন্ত ৫০০ টিরও বেশি খাবার মেনুতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

 প্রথমে দেশি খাবার:

  দেশি খাবারের মধ্যে রয়েছে দহি ভল্লা, সিঙ্গারা, ফুচকা, বড়া পাভ, চাটপাটি চাট, ভেলপুরী, দহি পুরি, সেভ পুরি, মির্চি ভাদা, বিকানেরি ডাল পরোটা, পলাশ, লীলভা কচোরি, আলু দিল খুশ, টিক্কি এবং যোধপুরি কাবুলি পোলাও।  বাজরা থেকে তৈরি খাবারের মধ্যে রয়েছে সিঙ্গারা, পরোটা, ক্ষীর এবং হালুয়া।

 মেনুতে ৫০০ টিরও বেশি খাবার রয়েছে:

 রয়েছে বিহারের বিখ্যাত লিট্টি চোখা, বাজরা দিয়ে তৈরি রাজস্থানী ডাল বাটি চুরমা, বাঙালির রসগোল্লা, পাঞ্জাবের বিখ্যাত ডাল তড়কা, দক্ষিণ ভারতের উত্তাপম, ইডলি এবং মসলা দোসা, উরুলাই ভাথাক্কল, মালাবার পরোটা, ইডলি। সাম্বার, অনিয়ন চিলি উত্তাপম, মহীশূর দোসা, চাঁদনি চকের সুস্বাদু খাবার অন্তর্ভুক্ত।

   স্যালাডের মধ্যে রয়েছে টসড ইন্ডিয়ান গ্রিন স্যালাড, পাস্তা এবং গ্রিলড ভেজিটেবল স্যালাডএবং চানা সুন্দল।  পনির লাবদার (উত্তরপ্রদেশের খাবার), আলু লিওনেজ, সবজ কোরমা (অন্ধ্রপ্রদেশের খাবার), কাজু মটর মাখানা, আরাবিয়াটা সসে পেনে এবং ভুনা বাদাম এবং সবজির ঝোল।

অন্যান্য খাবারের মধ্যে রয়েছে জোয়ার ডাল তড়কা, পেঁয়াজ জিরে পোলাও (পাঞ্জাবি খাবার), তন্দুরি রোটি, বাটার নান, কুলচা।  সাথে থাকবে শসার রায়তা, তেঁতুল ও খেজুরের চাটনি, আচারের মিশ্রণ, সাধারণ দই।

     ডেজার্ট মেনুতে রয়েছে জিলেপি, কুট্টু মালপুয়া (উত্তরপ্রদেশ স্পেশাল), কেসর পিস্তা রসমালাই (ওড়িশা স্পেশাল), গরম আখরোট এবং আদার হালওয়া, স্ট্রবেরি আইসক্রিম, কালো কারেন্ট আইসক্রিম, গুলাব জামুন, রসমালাই, মালাই ঘেভার, গুলাব চুর্মা, পিস্তা কুলফি, আটার হালুয়া, শ্রীখন্ড, ফালুদার সাথে মালাই কুলফি, কেসর পিস্তা-থান্ডাই, সেওয়াইয়ান, ডাল-বাদাম হালওয়া, মিশ্রি মাওয়া, ক্ষীর, গাজরের হালুয়া, মতিচুর লাড্ডু, শুকনো ফলের মিষ্টি, আখরোট-ডুমুরের হালুয়া, আঙ্গুরি রসমালাই, আপেল আর যোধপুরী মাওয়া কচোরি।

     মেনুতে শসা ওয়েলশ বাঁধাকপি, ডেনিশ ডেনিশ ব্রেড রোল, সিজলিং ব্রাউনি উইথ হ্যাজেলনাট এবং দারুচিনি আইসক্রিম এবং ডেজার্টের জন্য কেক সহ থাই এবং ডেনিশ খাবার রয়েছে।

 রাতের খাবারের জন্য :

     খাবার পরিবেশনকারী কর্মীরা থাকবেন বিশেষ পোশাকে।

     অনেক বিলাসবহুল হোটেলে টেবিলওয়্যার এবং সিলভার পাত্রে অর্ডার দেওয়া আছে।

     প্রায় ১৫০০০ রূপার বাসন প্রস্তুত করা হয়েছে।

     সকালের জলখাবার থেকে লাঞ্চ এবং ডিনার পর্যন্ত ৫০০ টিরও বেশি খাবার

     এটি দই এবং চাটনি (চাট) দিয়ে পরিবেশন করা হবে যার উপরে বাজরা পাতার কুঁচকানো টুকরো।

     প্রধান কোর্স: দই এবং চাটনি (চাট) দিয়ে ঢেকে বাজরা পাতার কুঁচি।

     কাঁঠালের গ্যালেট এবং ফরেস্ট মাশরুম, বাজরা এবং কেরালা লাল চালের সাথে মুম্বাই পাভের মতো রুটি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

     মিষ্টির মধ্যে রয়েছে মধুরিমা, একটি এলাচ-গন্ধযুক্ত বার্নইয়ার্ড বাজরা পুডিং।

     দুধ এবং গম বাদামের সাথে ডুমুর-পীচ কপোতে এবং আম্বেমোহর চালের কুঁচি।

     পানীয়ের মধ্যে থাকবে কাশ্মীরি, ফিল্টার কফি, দার্জিলিং চা এবং পানের স্বাদযুক্ত চকোলেট।