আসল এবং নকল দারুচিনি চেনার উপায়
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৩ সেপ্টেম্বর : খাবারে দারুচিনি ব্যবহার করা হয় এমনকি রান্না থেকে শুরু করে সর্দি-কাশির চিকিৎসা পর্যন্তও দারুচিনি ব্যবহার করা হয়। বাজারে পাওয়া দারুচিনির নামে অনেক সময় গাছের বাকল থেকে যায়। এই বাকল পেয়ারা বা অন্য কোন গাছের হতে পারে। আসলে দারুচিনির রং আর অন্য গাছের বাকলের রং একই রকম, এমন অবস্থায় দুটোরই একই রং দেখলে মাঝে মাঝে মনে হয় দুটোই একই। আসল দারুচিনি কেনার আগে একটু যত্ন নিলেই আসল ও নকল দারুচিনির পার্থক্য করা যায়। চলুন জেনে নেই কীভাবে-
আসল এবং নকল দারুচিনির মধ্যে পার্থক্য করা যায়:
মসৃণ আবরণ :
আসল দারুচিনির উপরের স্তরটি খুব মসৃণ। তাই যখনই দারুচিনি কিনতে যান, তার উপরের স্তরটি ভালো করে লক্ষ্য করুন। সবসময় এটি স্পর্শ করে দারুচিনি কিনুন। কারণ অনেক সময় দারুচিনির পরিবর্তে পেয়ারা বা ক্যাশিয়ার ছাল দেওয়া হয়, যার উপরের অংশ রুক্ষ। গঠন দারুচিনির অনুরূপ।
একটি পাতলা রোল মত দেখায়:
দারুচিনি কিনতে গেলে দেখবেন পাতলা রোলের মতো হয়ে গেছে। এটি এতই উপাদেয় যে এটিকে স্পর্শ করলে ভেঙ্গে যাবে। যেখানে নকল দারুচিনিতে রোলের মতো কিছু নেই, এটি ফাঁপা। ভেঙ্গে বিক্ষিপ্ত হয়ে গেছে। এছাড়াও এটি পুরু বাকল মত দেখায়।
এটি রঙ এবং গন্ধের মধ্যে পার্থক্য:
দারুচিনির রং ও গন্ধে অনেক পার্থক্য রয়েছে। আসল দারুচিনির রঙ হালকা বাদামী, যেখানে নকল দারুচিনির রঙ গাঢ়। নকল দারুচিনি স্পর্শ করলেই এর রঙ হাতে ফুটে উঠবে। কারণ এটি রঙিন। যেখানে আসল দারুচিনির রং বের হয় না। গন্ধের কথা বললে, আসল দারুচিনির গন্ধ মিষ্টি, যেখানে নকল দারুচিনির গন্ধ অদ্ভুত এবং তীব্র।
No comments:
Post a Comment