যাদবপুর র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় নতুন তথ্য আবিষ্কার - Breaking Bangla |breakingbangla.com | Only breaking | Breaking Bengali News Portal From Kolkata |

Breaking

Post Top Ad

Monday 14 August 2023

যাদবপুর র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় নতুন তথ্য আবিষ্কার




যাদবপুর র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় নতুন তথ্য আবিষ্কার 


নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা, ১৪ অগাস্ট : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় এবার যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠল।  রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের উপদেষ্টা অনন্যা চক্রবর্তী জানিয়েছেন, মৃত ছাত্রকে নগ্ন অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে।  তার শরীরে সিগারেটের ছেঁকাও মিলেছে।  সে নিজেই তার ভাইকে ফোন করে জানায় যে তাকে সমকামী বলা হচ্ছে।  তাই এটি যৌন হয়রানির মামলায় পড়ে।  ছেলেটির বয়স তখনো ১৮ বছর হয়নি।  সেজন্য পকসো আইনে বিচারের প্রয়োজন রয়েছে।


 ছাদ থেকে পড়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।  এই ঘটনায় প্রাক্তন ছাত্র সৌরভ চৌধুরী ও তাঁর সহযোগী মনোতোষ ঘোষ ও দীপশেখর দত্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের উপদেষ্টা অনন্যা চক্রবর্তী রবিবার নদীয়ায় মৃত ছাত্রীর বাড়িতে যান।  সেখান থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হওয়ার পর ওই ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা পকসো আইনে আনার দাবি জানায়।


 তিনি বলেন, এই ঘটনাটি পকসো আইনের আওতায় এসেছে।  মৃত্যুকালে নিহত ছাত্রের বয়স ছিল ১৭ বছর ৯ মাস ৯ দিন।  অনন্যা চক্রবর্তী বলেন, “ছেলেটিকে নগ্ন অবস্থায় পাওয়া গেছে।  তার শরীরে সিগারেটের ছেঁকা ছিল।  সে নিজেই তার ভাইকে ফোন করে জানায় যে তাকে সমকামী বলা হচ্ছে এখানে।"

 তিনি বলেন, তাই এটি যৌন হয়রানির আওতায় আসে।  তাই এই ঘটনার POCSO আইনে বিচার হওয়া দরকার।  অনন্যা চক্রবর্তীও প্রশ্ন তোলেন কেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও হোস্টেলে সিসি ক্যামেরা নেই?


 শিশু সুরক্ষা কমিশনের কনসালটেন্ট নাবালক হওয়ায় ওই ছাত্রের নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করেন।  পুলিশ সূত্রে খবর, যাদবপুরের ঘটনায় পক্সো আইন যুক্ত হতে পারে।


 মনোতোষের আইনজীবী অমী হক এবং দীপশেখরের আইনজীবী সৌম্যসুব্র রায় রবিবার আদালতকে জানান, এফআইআর-এ তাদের মক্কেলদের নাম নেই।  আইনজীবীরা আরও বলেছেন যে তাদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা হতে পারে, হত্যা নয়।  কিন্তু পাবলিক প্রসিকিউটর এর বিরুদ্ধে যুক্তি তুলে ধরে বলেন, তদন্তে ধীরে ধীরে জানা যাচ্ছে এই ঘটনার সঙ্গে অনেকেই জড়িত।


 তিনি বলেন, এর বাইরে এসব গ্রেফতার হওয়া ছাত্র বা প্রাক্তন ছাত্ররা সব কিছু বলছে না।  তাই ঘটনার গভীরে যেতে হলে তাদেরকে পূর্ণাঙ্গ পুলিশ হেফাজতে থাকতে হবে।  আদালতে সরকারি আইনজীবী দুটি যুক্তি উপস্থাপন করেন।  প্রথমে ছাত্রাবাসের বাবুর্চির কথা বললে ওই বাবুর্চি বলেন, কীভাবে ছাত্রাবাসে প্রথম বর্ষের ছাত্রদের নির্যাতন করা হয়?


 ওই ছাত্রের নাম না করে সরকারি আইনজীবী বলেন, ওই ছাত্র যাদবপুর হোস্টেলে ছাত্রদের ওপর অত্যাচারের কথাও বলেছিল।  এরপর তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে এ ধরনের হয়রানি চলছে।  কিন্তু তারপরও এ ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া এক প্রাক্তন ছাত্র ও দুই শিক্ষার্থী এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।  পরে রবিবার তাঁদেরকে নয় দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠায় আদালত।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad