এই জ্যোতির্লিঙ্গের ধর্মীয় গুরুত্ব
মৃদুলা রায় চৌধুরী, ২৪ জুলাই : শ্রাবন মাসে ভগবান ভোলেনাথের পূজো করার আলাদা গুরুত্ব আছে। কলিযুগেও ভোলেনাথের মহিমা অপরিসীম। শিব তাঁর ভক্তদের সমস্ত ঝামেলার হাত থেকে রক্ষা করেন, বিশেষ বিষয় হল শিব অল্পেতেই খুশি হন, তাই তাঁকে ভোলেনাথ বলা হয়। ভগবান শিবের ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গ রয়েছে। শিবের এই ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গ মল্লিকার্জুন জ্যোতির্লিঙ্গ সহ বিভিন্ন রাজ্যে অবস্থিত। মল্লিকার্জুনকে শিবের দ্বিতীয় জ্যোতির্লিঙ্গ বলা হয়, যা দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশের কুর্নুল জেলায় কৃষ্ণা নদীর তীরে অবস্থিত। শ্রীশৈলম পর্বতে অবস্থিত এই জ্যোতির্লিঙ্গ।
মল্লিকার্জুন জ্যোতির্লিঙ্গের ধর্মীয় তাৎপর্য:
শাস্ত্র অনুসারে, একজন ব্যক্তি ভগবান শিবের দ্বিতীয় জ্যোতির্লিঙ্গ মল্লিকার্জুনের দর্শন করলেই মোক্ষ লাভ হয়। শিব তাঁর ভক্তদের সমস্ত দুঃখ-বেদনা দূর করেন। মল্লিকার্জুন জ্যোতির্লিঙ্গে শিবের পাশাপাশি শক্তিও মহিমান্বিত। এখানে শিবের সাথে আদিশক্তি মাতা পার্বতীরও দর্শন পাওয়া যায়।শিব ও পার্বতীর নামের সমন্বয়ে এর নামও করা হয়েছে। মল্লিকা মানে মাতা পার্বতী আর অর্জুন মানে ভগবান শিব অর্থাৎ মল্লিকার্জুন। এটা বিশ্বাস করা হয় যে শিবের দ্বিতীয় জ্যোতির্লিঙ্গ অর্থাৎ মল্লিকার্জুন দেখলে একজন মানুষের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়।
দর্শনের জন্য মল্লিকার্জুন জ্যোতির্লিঙ্গে গেলে শিবকে বেলপত্র, ধাতুরা, ভাং ইত্যাদি অর্পণ করলে ভোলেনাথ দ্রুত সুখী হন। জলাভিষেক এবং দুগ্ধাভিষেক করাও খুব ভাল ফল দেয় বলে মনে করা হয়। এই মন্দিরের ভোলা নাথের দর্শন করলে পুত্র লাভের ইচ্ছা পূরণ হয়।
No comments:
Post a Comment