ব্রেন হেমারেজ এভাবে হয়ে থাকে
ব্রেকিং বাংলা হেলথ ডেস্ক, ২০ জুলাই : ব্রেন হেমোরেজ একটি হুমকি এবং গুরুতর অবস্থা যাতে একজন ব্যক্তির জীবনও হারাতে পারে। বেশিরভাগ লোকই ব্রেন হেমারেজের কথা জানেন কিন্তু এই সময়ে শরীরে কী ধরনের পরিবর্তন হয় সে সম্পর্কে তারা জানেন না। ব্রেন হেমারেজ হলে মস্তিষ্কের ভেতরে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। মানে মাথার ভেতর শিরা ফেটে রক্তপাত হয়। ডাক্তারি পরিভাষায় এটি ইন্ট্রাক্রানিয়াল হেমোরেজ নামে পরিচিত। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় যে প্রশ্নটি ওঠে তা হল এটি কীভাবে হয়? আর কীভাবে এড়ানো যায়। চলুন জেনে নেই বিস্তারিত-
সেরিব্রাল পলসি হওয়ার কারণ:
ব্রেন হেমারেজের অনেক কারণ থাকতে পারে। যেন একজনের মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে। গুরুতর আঘাত, গাড়ি দুর্ঘটনা, মাথায় যেকোনও ধরনের আঘাত ব্রেন হেমারেজ হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ মস্তিষ্কের স্নায়ুকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে যা রক্তনালীগুলির দেয়ালকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং রক্তপাত বা রক্তনালী ফেটে যেতে পারে।
মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার কারণে ব্রেন হেমারেজও হতে পারে।
ধমনীতে চর্বি জমে বা এথেরোস্ক্লেরোসিসের কারণেও ব্রেন হেমারেজের ঝুঁকি বেড়ে যায়। সেরিব্রাল অ্যানিউরিজম হল রক্তনালীগুলির প্রাচীরের একটি দুর্বল স্থান যা ফুলে যায় এবং ফেটে যায়।
মস্তিষ্কের শিরার দেয়ালের ভিতরে অ্যামাইলয়েড প্রোটিন অর্থাৎ সেরিব্রাল অ্যামাইলয়েড অ্যাঞ্জিওপ্যাথির কারণেও ব্রেন হেমোরেজ হয়। একটি মস্তিষ্কের টিউমার যা মস্তিষ্কের টিস্যুতে চাপ দেয় তা রক্তপাত এবং মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণও হতে পারে।
ধূমপান, প্রচুর অ্যালকোহল পান বা কোকেন ব্যবহার করলেও ব্রেন হেমারেজের ঝুঁকি বাড়ে। গর্ভাবস্থায় এক্লাম্পসিয়া এবং ইন্ট্রাভেন্ট্রিকুলার রক্তপাতের ফলেও ব্রেন হেমারেজ হতে পারে।
ব্রেন হেমারেজ কীভাবে হয়:
ব্রেন হেমারেজের অনেক কারণ থাকতে পারে। মস্তিষ্ক যখন সঠিক পরিমাণে অক্সিজেন পায় না, তখন মস্তিষ্কের কোষগুলো মারা যেতে থাকে। এ অবস্থায় শরীরের কার্যক্রম ব্যাহত হতে থাকে। যাকে ইন্ট্রাক্রানিয়াল হেমোরেজ বা সেরিব্রাল হেমোরেজ বলে। এমন অবস্থায় তিন থেকে চার মিনিটের বেশি অক্সিজেনের অভাব থাকলে মস্তিষ্কের স্নায়ুগুলো খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটি মস্তিষ্কের স্নায়ুকে অনেক বেশি প্রভাবিত করে।
প্যারেসিস
শরীরের কোন অংশে অসাড়তা বা দুর্বলতা
খাওয়া এবং পান করতে অসুবিধা হওয়া
দৃষ্টিশক্তি প্রভাবিত করে।
খিঁচুনি এবং মাথাব্যথা
এর কারণও একজন ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।
কীভাবে ব্রেন হেমারেজ এড়ানো যায়:
ব্রেন হেমারেজ এড়াতে চান তবে সবসময় রক্তচাপ পরীক্ষা করে রাখুন। বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের প্রায়ই তার রক্তচাপ পরীক্ষা করানো উচিৎ। উচ্চ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকা খুবই জরুরি। কম অ্যালকোহল পান করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন এবং প্রতিদিন ব্যায়াম করুন। ডায়াবেটিস থাকলে চিনি সবসময় নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
No comments:
Post a Comment