বন্যার কারণে জল বাহিত রোগের ঝুঁকি রয়েছে এগুলো
ব্রেকিং বাংলা হেলথ ডেস্ক, ১৯ জুলাই : যমুনার জল বাড়াবাড়ি হওয়ার কারণে নিরাপত্তার দিক থেকে সরকার হাই অ্যালার্ট জারি করেছে। শুধু তাই নয় এই সময়ে অনেক রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। বন্যায় জল বাহিত রোগের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।আসুন জেনে নেই এসব রোগ সম্পর্কে-
ম্যালেরিয়া:
বন্যার কারণে জলে মশার বংশবৃদ্ধির কারণেও ম্যালেরিয়ার ঝুঁকি থাকে।প্লাজমোডিয়াম প্যারাসাইট একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ যা ম্যালেরিয়া সৃষ্টি করে।সংক্রমিত স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশার কামড়ে পরজীবী মানুষের দেহে স্থানান্তরিত হয়। ম্যালেরিয়া, জ্বর, ক্লান্তি, বমি বমি ভাব এবং মাথাব্যথা হতে পারে।
ডেঙ্গু:
বৃষ্টির পর জমে থাকা জলে মশা বংশবিস্তার করে, যার কারণে ডেঙ্গুর ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়। এডিস ইজিপ্টাই মশার কামড়ে ডেঙ্গু ছড়ায়। যখন ডেঙ্গু হয়, তখন জ্বর, শরীরে ব্যথা, পেশী ব্যথা এবং সর্দির মতো উপসর্গ থাকে।
হাইপোথার্মিয়া:
কয়েক ঘণ্টা বন্যার জলে থাকার কারণেও হাইপোথার্মিয়ার অভিযোগ হতে পারে। জলে থাকার কারণে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নিচে চলে যায়।শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নিচে চলে যায় অর্থাৎ ৩৫ ডিগ্রি।এই অবস্থা খুবই মারাত্মক হতে পারে।
হেপাটাইটিস এ:
হেপাটাইটিস এ হল হেপাটাইটিস এ ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি লিভারের রোগ। যখন দূষিত জল বা খাবারের সংস্পর্শে আসা হয় তখন ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হতে হয়। হেপাটাইটিস এ জ্বর, অস্বস্তি, ক্ষিদে কমা, ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব, পেটে ব্যথা, গাঢ় রঙের প্রস্রাব এবং জন্ডিসের মতো উপসর্গ সৃষ্টি করে।
টাইফয়েড :
দূষিত জল টাইফয়েড জ্বরের ঝুঁকি তৈরি করে৷ যদি স্যানিটেশন দুর্বল হয়, বন্যার সময় টাইফয়েডের প্রাদুর্ভাব বেশি হতে পারে৷ সালমোনেলা টাইফি হল ব্যাকটেরিয়া যা টাইফয়েড জ্বরের কারণ৷ দেহের ভেতরে একবার এই ব্যাকটেরিয়াগুলি প্রবেশ করলে বহুগুণ বেড়ে যায় এবং সারা রক্তপ্রবাহে ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে ক্রমাগত জ্বর, ক্লান্তি, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, পেটে ব্যথা এবং ডায়রিয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। সময়মতো চিকিৎসা না করালে টাইফয়েড রোগ মারাত্মক হতে পারে।
No comments:
Post a Comment