সাপের বিষ বাজেয়াপ্ত করল বিএসএফ
নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ দিনাজপুর, ১৫ জুলাই : দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি সীমান্তের উত্তর আগ্রা গ্রামে সাপের বিষ ভর্তি একটি জার উদ্ধার করেছে বিএসএফ। বিএসএফ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া সাপের বিষের বাজার মূল্য প্রায় ১২ কোটি টাকা। ফ্রান্সে তৈরি হয় সাপের বিষে পূর্ণ একটি জার। এর গায়ে মেড ইন ফ্রান্স লেখা আছে।
শুক্রবার বালুরঘাট বন দফতরের হাতে সাপের বিষের জার তুলে দিয়েছে বিএসএফ। সাপের বিষ পাচারের ঘটনায় কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখছে বিএসএফ এবং বালুরঘাট বন বিভাগ। বিএসএফ এক বিবৃতিতে বলেছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ৬১ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ সদস্যরা হিলি থানার অন্তর্গত উত্তর আগ্রার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় তল্লাশি চালায়। বাংলাদেশী পত্রিকায় মোড়ানো একটি বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। তখনই ওই বস্তু থেকে খবরের কাগজটি সরাতে গিয়ে সাপের বিষে ভরা একটি জার বেরিয়ে আসে।
বিএসএফ সাপের বিষ বাজেয়াপ্ত করলেও এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি বিএসএফ। বিএসএফ আরও জানিয়েছে যে ২৮ সেন্টিমিটার লম্বা জারটি ফ্রান্সে তৈরি করা হয়েছিল। সেখান থেকে তারা বাংলাদেশ হয়ে এদেশে পাচারের চেষ্টা চলছিল। চোরাচালানের রুট তল্লাশি করে চোরাচালানের পরিকল্পনা নস্যাৎ করে বিএসএফ। ওই বয়ামের ওজন ২কেজি ৪৬০ গ্রাম।বিএসএফের দাবি, সাপের বিষের বয়ামের আন্তর্জাতিক কালোবাজারে দাম ১২ কোটি টাকা।তবে, বিএসএফ আধিকারিকরা এখনও নিশ্চিত করতে পারেননি যে জারে কোন প্রজাতির সাপের বিষ ছিল।
এ প্রসঙ্গে বালুরঘাট বন দফতরের রেঞ্জার সুকান্ত ওঝা বলেন, বিএসএফ-এর ৬১তম ব্যাটালিয়নের হাতে সাপের বিষ ভর্তি একটি জার হস্তান্তর করা হয়েছে। সাপের বিষের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য মুম্বাইতে পাঠানো হবে। উত্তরবঙ্গের এই এলাকায় সাপের বিষ চোরাচালানকারী চক্র সক্রিয় রয়েছে বলে জানিয়েছেন বন বিভাগের আধিকারিকরা। বাংলাদেশ দিয়ে আমেরিকা, ইউরোপীয় দেশ ও চীনে বিষ পাচার হয়। এর আগেও বন দফতরের আধিকারিকরা বিষের বড় চালান আটক করেছিল। এসময় তিনি দুই পাচারকারীকে গ্রেফতার করতেও সফল হন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, চোরাকারবারী এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়।
No comments:
Post a Comment