গজেন্দ্র মোক্ষ কথা, ভগবান বিষ্ণুর অলোকিক মহিমা
মৃদুলা রায় চৌধুরী, ২২ জুলাই : ভগবান বিষ্ণু তাঁর ভক্তদের খুবই ভালোবাসেন। শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণের গল্পেও এর উদাহরণ পাওয়া যায়। এই গল্পে বলা হয়েছে যে কীভাবে বিষ্ণু খালি পায়ে ছুটে গিয়েছিলেন একটি হাতির জীবন বাঁচাতে, এই গল্প কি এবং এর মানে কি? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
গজেন্দ্র মোক্ষের গল্প:
ক্ষীরসাগরে ত্রিকূট নামে একটি পর্বত ছিল। এখানে একটি হাতির পরিবার বাস করত। যার প্রধান ছিলেন গজরাজ গজেন্দ্র। গজরাজ গজেন্দ্র ও তাঁর পরিবার প্রতিদিনের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন, হঠাৎ সকলের তৃষ্ণা অনুভব হয় । পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে গজরাজ একটি হ্রদের জল পান করতে শুরু করেন। কিন্তু তখন একটি শক্তিশালী কুমির গজরাজের পা ধরে তাকে জলের নিচে টেনে নিয়ে যেতে থাকে।
গজরাজ কুমিরের হাত থেকে বাঁচার জন্য তার সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করেছিলেন, কিন্তু কুমিরটি তাকে পরাভূত করতে শুরু করে। কুমির তার পা শক্ত করে চেপে ধরে। এবার গজরাজ ব্যাথায় চিৎকার করতে থাকে। গজেন্দ্রের চিৎকার শুনে অন্য হাতিরাও চিৎকার করতে থাকে। পরিবারের সবাই মিলে গজরাজকে বাঁচানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। গজরাজ ক্লান্ত হয়ে তার সময় ঘনিয়ে আসতে দেখে ভগবান বিষ্ণুর কথা স্মরণ করলেন, গজরাজ ছিলেন ভগবান বিষ্ণুর পরম ভক্ত।
প্রতিদিন বিষ্ণুকে পূজো করতেন গজরাজ। মৃত্যু ঘনিয়ে আসছে দেখে তিনি চোখ বন্ধ করে প্রভুকে স্মরণ করতে লাগলেন। প্রচণ্ড যন্ত্রণায় তিনি প্রভুকে ডাকতে লাগলেন। ভক্তের ডাক বিষ্ণুর কানে বাজতে লাগল। ভগবান এক মুহুর্তের জন্য অপেক্ষা না করে, খালি পায়ে, গরুড়ের উপর চড়ে গজেন্দ্রকে বাঁচাতে ছুটে গেলেন এবং নিজের সুদর্শন চক্র দিয়ে কুমিরটিকে মেরে ফেললেন।
গল্প থেকে শিক্ষা :
এই গল্প থেকে জানা যায় যে, যখন কেউ সাহায্য চায়, তখন সময়, পরিস্থিতি, অবস্থানকে পাত্তা না দিয়ে তাকে সাহায্য করা উচিৎ।
No comments:
Post a Comment