রাজ্যসভার প্রার্থী হচ্ছেন সৌরভ গাঙ্গুলী!
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা, ০২ জুলাই : সাতটি রাজ্যসভা আসনের জন্য ২৪শে জুলাই ভোট হচ্ছে। ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী বা বিজেপি নেতা তথা চলচ্চিত্র অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী এই একটি আসনে মনোনয়ন পাবেন বলে জল্পনা চলছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বঙ্গীয় বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে পাঠানো তালিকায় রয়েছে সৌরভ গাঙ্গুলী ও মিঠুন চক্রবর্তীর নাম।
এই রাজ্যসভার একটি আসনের জন্য বঙ্গীয় বিজেপির পক্ষ থেকে দিল্লিতে দুটি পৃথক তালিকা পাঠানো হয়েছে। একটি তালিকা পাঠিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং অন্যটি রাজ্যের বিরোধী দলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারীর পাঠানো তালিকায় রয়েছে সৌরভ গাঙ্গুলীর নাম। ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ ও বর্তমান বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীও।
শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে পাঠানো তালিকায় বিজেপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় এবং গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অনন্ত মহারাজের নামও রয়েছে।
রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের পাঠানো তালিকায় রয়েছে রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, স্বপন দাশগুপ্ত, বিজেপির বাংলার মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য, প্রাক্তন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদীর নাম। তবে সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারীর তালিকায় একটি কমন নাম অনন্ত মহারাজের।
রাজবংশী সম্প্রদায়ের উপর অনন্ত মহারাজের অনেক দখল রয়েছে। উত্তরবঙ্গে রাজবংশী সম্প্রদায়ের বেশ প্রভাব রয়েছে এবং ভোটব্যাংকের দিক থেকেও এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ তাঁর বাংলা সফরে অনন্ত মহারাজের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। রাজ্যসভার আসনের প্রার্থী নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে জল্পনা শুরু হয়েছে। ডেরেক ও'ব্রায়েন, দোলা সেন এবং সুখেন্দু শেখর রায় ছয়টি আসনের মধ্যে তিনটিতে পুনরায় মনোনয়ন পাবেন।
বাকি তিনটি আসন নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা চলছে বলে সূত্র জানায়। তবে সূত্র আরও বলছে, এবার শান্তা ছেত্রী ও সুস্মিতা দেবকে প্রার্থী করার সম্ভাবনা খুবই কম।এই দুটি আসনে কাকে আনা হবে তা এখনও নিশ্চিত করেনি তৃণমূল কংগ্রেস। তবে একটি সূত্রের খবর, কুণাল ঘোষকে প্রার্থী করা হতে পারে।
তৃণমূল কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা বলছেন, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ছেলে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে প্রার্থী করা যেতে পারে। এমনটা হলে সেটা হবে মাস্টারস্ট্রোক।
কুণাল ঘোষ আগে রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন এবং বর্তমানে টিএসএম-এর মুখপাত্র। অন্যদিকে, অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় একজন পণ্ডিত এবং অন্যদিকে, তিনি রাজ্যসভার রাজনীতি খুব ভাল বোঝেন। এতে বিজেপির ওপর চাপ বাড়বে।
No comments:
Post a Comment