মা যমুনোত্রীর ইতিহাস - Breaking Bangla |breakingbangla.com | Only breaking | Breaking Bengali News Portal From Kolkata |

Breaking

Post Top Ad

Friday 14 July 2023

মা যমুনোত্রীর ইতিহাস




মা যমুনোত্রীর ইতিহাস


মৃদুলা রায় চৌধুরী, ১৪ জুলাই : যমুনোত্রী মন্দিরটি উত্তরাখন্ড রাজ্যে অবস্থিত এবং এটি  তীর্থস্থানের চার ধামের মধ্যে প্রথম।  এটি হিমালয়ের কোলে এবং যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত।  এই স্থানটিকে মা যমুনার জন্মস্থান বলে বিশ্বাস করা হয় এবং এখানে ভগবান বিষ্ণুর পূজো করা হয়।  যমুনোত্রী মন্দির তার সৌন্দর্য এবং এর ধর্মীয় গুরুত্বের জন্য বিখ্যাত। চলুন জেনে নেই  যমুনোত্রীর ইতিহাস-


 যমুনোত্রীর ইতিহাস:

   এই মন্দিরটি ১৯ শতকে নির্মিত হয়েছিল এবং হিমালয় অঞ্চলে অবস্থিত বেশ কয়েকটি বিষ্ণু মন্দিরের প্রতিনিধিত্ব করে।  এর নির্মাণের মধ্যে রয়েছে যজ্ঞশালা, স্নানের পুল এবং পূজোর জন্য বিশেষ কক্ষ।


 যমুনোত্রী মন্দির উত্তরাখণ্ড রাজ্যের উত্তর গাড়ওয়াল জেলায় অবস্থিত।  এটি হিমালয় তীর্থযাত্রা রুটে অবস্থিত এবং যমুনা নদীর তীরে গড়ে উঠেছে।  এর সঠিক অবস্থান হল যমুনোত্রী ধাম নামে একটি গ্রাম, যা মন্দির থেকে প্রায় ১কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। যাত্রীদের প্রথমে যমুনোত্রী ধামের প্রধান ফটক পর্যন্ত যেতে হবে, এবং তারপর একটি পাথরের পথ দিয়ে মন্দিরে যেতে হবে।


 মন্দিরের গুরুত্ব:


ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক দৃষ্টিকোণ থেকে যমুনোত্রী মন্দিরের গুরুত্ব অনন্য।  এটি মা যমুনার পবিত্রতার সাথে জড়িত এবং এখানে আসা ভক্তদের আনন্দ, শান্তি এবং আধ্যাত্মিকতার অভিজ্ঞতা প্রদান করে।  স্থানটি তার পৌরাণিক কাহিনী, বিশ্বাস এবং ধর্মীয় উৎসবের জন্যও বিখ্যাত।  মন্দিরের ভেতরে যমুনা দেবীর মূর্তি স্থাপন করা হয় এবং সেখানে প্রতিদিন পূজো করা হয়।  ধর্মপ্রাণ ভক্তরা নামাজ আদায় ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সুযোগ পান।  এখানে ভক্তদের জন্য পূজোর উপকরণ ও প্রসাদও পাওয়া যায়।


 যমুনোত্রীতে যাত্রা করার পরে, ভ্রমণকারীরা কাছাকাছি স্থানগুলিও দেখতে পারেন।  এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থান অন্তর্ভুক্ত:


 জানকী চ্যাট:

 জানকি চ্যাট একটি বিখ্যাত পিকনিক স্পট যেখানে ভ্রমণকারীরা বিশ্রাম নিতে পারে এবং নদীর তীরের সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করতে পারে।


সপ্তর্ষি কুন্ড:

 সপ্তর্ষি কুন্ড ভ্রমণকারীদের মধ্যে একটি প্রিয়, যেখানে একটি ছোট ভ্রমণ করতে পারেন এবং চারপাশের প্রকৃতি উপভোগ করতে পারেন।


 খরসাল চাম:

 এই চাম একটি প্রধান হিল স্টেশন যেখানে ভ্রমণকারীরা ট্রেকিং উপভোগ করতে এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে।


 যমুনোত্রী সম্পর্কে আকর্ষণীয় তথ্য:

 যমুনোত্রীর আক্ষরিক অর্থ "উত্তর দেবীর উৎপত্তিস্থল"।

 ধর্মীয় উদ্যানের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য যমুনোত্রী মন্দিরে নিবেদিত একটি বিশেষ পুল এতে প্রবাহিত হয়।

 যমুনোত্রী মন্দিরের কাছে একটি গরম জল প্রবাহিত রয়েছে, যেখান থেকে ভক্তরা গরম জল উপভোগ করতে পারেন।

 যমুনোত্রী মন্দির এবং এর আশেপাশে অনেক আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় পুরাণ কাহিনী এবং গণতান্ত্রিক তাৎপর্য রয়েছে।

 যমুনোত্রী ধামে বিশেষ উৎসবের আয়োজন করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে আরতি, ভজন এবং ঐতিহ্যবাহী নৃত্য।


 প্রধান ভ্রমণ গেট:

 যমুনোত্রী মন্দিরে পৌঁছানোর জন্য দুটি প্রধান প্রবেশদ্বার রয়েছে:


 যমুনোত্রী ধাম গেট:

 যমুনোত্রী ধাম গেট হল মন্দিরের কাছে যানবাহনে যাতায়াতের জন্য যাত্রীদের প্রথম দরজা।  এখানে পর্যটকরা ভ্রমণ, পর্যটন সম্পর্কিত সুবিধা এবং ভক্তদের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পান।


 যমুনোত্রী খাড়ি দ্বার:


যমুনোত্রী খাড়ি দ্বার স্থানীয় পর্যটন সংস্থাগুলি দ্বারা পরিচালিত হয় এবং ভক্তদের এটি দেখার সুযোগ করে দেয়।  যারা পায়ে হেঁটে ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন তাদের জন্য এই গেটটি উপযুক্ত।


 যমুনোত্রী মন্দিরে মা যমুনার পূজো ও উপবাস অত্যন্ত ধর্মীয় গুরুত্বের সাথে পালন করা হয়।  পূজো করার সময় ভক্তদের প্রাচীন মন্ত্র এবং আচার অনুসরণ করা উচিৎ।  এছাড়াও, যমুনা দেবীর উপবাস করা এবং তার কিংবদন্তি পাঠ করা ধর্মীয় আচারের অংশ।


 যমুনোত্রী মন্দিরের গল্প:

 

 যমুনোত্রী মন্দিরকে মা যমুনার আদি স্থান বলে মনে করা হয়।  একটি প্রাচীন কিংবদন্তি অনুসারে, মহর্ষি জমদগ্নি ও তাঁর স্ত্রী রেণুকার অভিশাপের কারণে মা যমুনার উৎপত্তি হয়েছিল।  এই কিংবদন্তি অনুসারে, যমুনা দেবী স্বয়ং ভগবান বিষ্ণুর দ্বারা জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং তিনি যমুনা নদীর রূপে পৃথিবীতে বাস করেছিলেন।


 আরেকটি বিখ্যাত কিংবদন্তী অনুসারে, যমুনা দেবী এবং গঙ্গা দেবীর দেখা হয়েছিল যমুনোত্রীতে।  এই কিংবদন্তি অনুসারে, ভগীরথ মহারাজ গঙ্গাকে পৃথিবীতে আনার জন্য তাঁর তপস্যা ও প্রার্থনা করেছিলেন।  মা গঙ্গা যখন পৃথিবীতে এসেছিলেন, তখন তিনি দেবী যমুনাকেও সঙ্গে নিয়েছিলেন।


যমুনোত্রী পূজোর গুরুত্ব:

 যমুনোত্রী মন্দিরের পূজো -অর্চনার গুরুত্ব অনেক।  মা যমুনা প্রতি বছর প্রচুর সংখ্যক ভক্ত দ্বারা এখানে পূজো করা হয় এবং বিশেষ উৎসবের আয়োজন করা হয়।   

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad