ত্বকের জন্য হিবিস্কাস ফুল!
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৪ জুন :আজকাল বাজারে অনেক ধরণের সৌন্দর্য পণ্য পাওয়া যায়। রাসায়নিক সমৃদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি বেশিরভাগ সৌন্দর্য পণ্যের দামও অনেক বেশি। অনেক সময় এসব পণ্য ব্যবহার করলে ত্বকে বেশিক্ষণ দেখা যায় না। ত্বক সুস্থ রাখতে কিছু প্রাকৃতিক পদ্ধতিও ব্যবহার করে দেখা যেতে পারে। ত্বকের যত্নের রুটিনে হিবিস্কাস ফুলও অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
ত্বকের যত্নের রুটিনে হিবিস্কাস ফুল অন্তর্ভুক্ত করার কিছু উপায় আসুন জেনে নেই-
ত্বক এক্সফোলিয়েট:
ত্বকের জন্য স্ক্রাব হিসাবে হিবিস্কাস ফুল ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে। এতে উপস্থিত বৈশিষ্ট্য ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে কাজ করে। হিবিস্কাস দিয়ে তৈরি স্ক্রাব ছিদ্রে জমে থাকা ময়লা দূর করতে কাজ করে। একটি পাত্রে 1 চা চামচ হিবিস্কাস পাউডার নিন। এতে এক চামচ চিনি দিন। এতে কিছু মধু যোগ করুন। এই জিনিসগুলো মিশিয়ে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করুন।
প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার:
প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসাবে হিবিস্কাস ফুল ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য হিবিস্কাস পেস্ট ব্যবহার করতে হবে। হিবিস্কাস ফুলের পেস্ট ত্বকে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। এতে মিউকিলেজ থাকে। এতে ত্বক নরম দেখায়।
ত্বকের বার্ধক্য রোধ:
হিবিস্কাস ফুল দিয়ে ত্বকের বার্ধক্য রোধ করতে পারেন। হিবিস্কাস ফুলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যদি ত্বকের জন্য হিবিস্কাস ফুল ব্যবহার করেন তবে এটি কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে। হিবিস্কাস ফুলে ভিটামিন সি থাকে। এতে ত্বক টানটান এবং তরুণ দেখায়। একটি পাত্রে হিবিস্কাস পাউডার নিন। এতে মধু ও গোলাপ জল মেশান। আর ২০মিনিটের জন্য ত্বকে লাগান। এর পর সাধারণ জল দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন।
ত্বকের কালো দাগ:
হিবিস্কাস ফুলে ম্যালিক অ্যাসিড এবং সাইট্রিক অ্যাসিড থাকে। এতে আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিডও পাওয়া যায়। এরা মেলানিনের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে। এতে ত্বকে উজ্জ্বলতা আসে। ত্বককে কালো দাগ এবং হাইপারপিগমেন্টেশন থেকে রক্ষা করতে পারে।
প্রদাহ কমায়:
হিবিস্কাস ফুলের প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। হিবিস্কাস ফুলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। হিবিস্কাস ফুলের পেস্ট দিয়ে ত্বকের লালভাব এবং চুলকানির সমস্যা নিরাময় করতে পারে।
No comments:
Post a Comment