এই প্রাণীসম্পদ পরিবহন বিলের খসড়া প্রত্যাহার সরকারের
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ২১ জুন : কেন্দ্রীয় সরকার প্রাণীসম্পদ পণ্য ও প্রাণীসম্পদ পরিবহন বিল ২০২৩-এর খসড়া প্রত্যাহার করেছে। বলা হচ্ছে, গবাদি পশুপালক ও সাধারণ মানুষের প্রতিবাদের পর কেন্দ্রীয় সরকার খসড়া প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন এই খসড়াকে আরও উন্নত করার কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই খসড়া পাস হলে গবাদিপশু রপ্তানিও বাড়ত। জনগণের মতামত জানতে এই খসড়াটি পাবলিক ডোমেইনে রেখেছিল কেন্দ্রীয় পশুপালন মন্ত্রক। কিন্তু জনতার প্রতিবাদে তা প্রত্যাহার করা হয়।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সঞ্জীব বালিয়ান বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সময়ের দাবি অনুসারে পশুসম্পদ আমদানি আইন ১৮৯৮ এ পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন। বৃটিশদের সময় থেকেই এই আইন চলে আসছে। প্রাণী সম্পদ আমদানি আইন, ১৮৯৮-এ পরিবর্তন করে, খসড়া প্রাণীসম্পদ পণ্য এবং পশুসম্পদ আমদানি ও দখল বিল, পাবলিক ডোমেনে রাখা হয়েছিল। কিন্তু এই খসড়া নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া হয়, যার কারণে মানুষ বিভ্রান্ত হয়।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মতে, খসড়াটি প্রত্যাহারের জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, খসড়াটি পাবলিক ডোমেইনে রাখার পর এটি পরিষ্কার হয়ে গেছে যে এতে আরও অনেক পরিবর্তন করতে হবে। মিডিয়াকে সম্বোধন করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সঞ্জীব বালিয়ান বলেছেন যে এই বিলটি পশুপালন ক্ষেত্রের আরও উন্নয়ন এবং দুগ্ধজাত দ্রব্যের গুণমান আরও উন্নত করার জন্য আনা হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশ স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ হয়েছে। স্বাধীনতার অমৃত উৎসব পালন করছে দেশের মানুষ। এমতাবস্থায় দেশের স্বাধীনতার আগে যেসব আইন চালু ছিল, সেগুলোর পরিবর্তনের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।
তার মতে, স্বাধীনতার আগের আইন বর্তমান সময়ের সঙ্গে মানানসই নয়। তিনি বলেন, সরকার ক্রমাগত পুরনো আইন পরিবর্তনের চেষ্টা করছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মতে, ১৮৯৮ সালের প্রাণীসম্পদ আমদানি আইন পরিবর্তন করা হলে গরু পালনকারীরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে।
No comments:
Post a Comment