আপেল চাষ করে নজির গড়লেন এই দুই ভাই
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৩ জুন : আপেলের নাম শুনলেই সবার আগে হিমাচল প্রদেশ ও কাশ্মীরের নাম ভেসে ওঠে। কারণ বলা হয় যে আপেল চাষ হয় শুধুমাত্র এই দুই রাজ্যে, কিন্তু তা নয়। এমন অনেক জাতের আপেল বাজারে এসেছে, যা গরম অঞ্চলেও চাষ করা যায়। রাজস্থান, বিহার, মধ্যপ্রদেশ ও হরিয়ানা সহ অনেক রাজ্যে কৃষকরা আপেল চাষ করছেন। এই বিশেষ জাতের আপেল ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে। এই কারণেই বেনারসে আপেল চাষ করে সকলের সামনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন দুই ভাই। তাদের বাগানের গাছেও আপেল আসতে শুরু করেছে।
তথ্য অনুযায়ী, এই দুই ভাইয়ের নাম রাধেশ্যাম প্যাটেল এবং সঞ্জয় প্যাটেল। দুজনেই সেবাপুরী উন্নয়ন ব্লকের ভাটপুরওয়া গ্রামের বাসিন্দা। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে নিজেদের গ্রামে আপেল চাষ শুরু করেছেন দুজনেই। বিশেষ বিষয় হল তারা দুজনেই হিমাচল প্রদেশ থেকে ৫০০টি আপেল গাছ এনে তাদের বাগানে লাগিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, চাষ শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে দু বছরের মধ্যে গাছে ফল আসতে শুরু করে। দুই ভাইই হরিমন-৯৯ জাতের আপেল গাছ লাগিয়েছেন।
রাধেশ্যাম প্যাটেল জানিয়েছেন, তাঁরা চার ভাই। তিনি কৃষি বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। প্রায় ৬ বছর আগে, তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপেল চাষ সম্পর্কে জানতে পারেন। এরপর তিনি তার ভাইদের সাথে পরামর্শ করে এর চাষ শুরু করেন। এরপর আপেল চাষ শুরু করলেও ফল আসেনি। এমতাবস্থায় তাদের সব গাছ কেটে ফেলতে হয়েছে। এর পরে রাধেশ্যাম প্যাটেল হিমাচল প্রদেশ থেকে হরিমান-৯৯এর ৫০০টি গাছ লাগান। দু বছরে গাছে ফল চলে আসে। সঞ্জয় প্যাটেল বলেছেন যে তিনি যখন আপেল চাষ শুরু করেছিলেন, লোকেরা তাদেরকে নিয়ে অনেক মজা করেছিল। কিন্তু সাফল্য পাওয়ার পর এখন সেই লোকজনই প্রশংসা করছে।
বিশেষ বিষয় হলো, এ বছর এসব ভাইয়ের বাগানে ১০০ কেজি আপেল উৎপাদন হয়েছে। স্থানীয় বাজারে এটি প্রতি কেজি ১৫০ টাকায় বিক্রি করেন, যা থেকে ১৫,০০০ টাকা আয় হয়। সময়ের সাথে সাথে উৎপাদন বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন তাঁরা। রাধেশ্যাম ও সঞ্জয় জানান, ধীরে ধীরে তারা তাদের বাগানে আরও গাছ লাগাবেন। তাঁদের মতে, বেনারস আপেলের স্বাদ একেবারেই আলাদা। এটি মিষ্টতা ও রসে পরিপূর্ণ। এর খোসা পাতলা। এছাড়াও, এর স্বাদ হালকা টক। হরিমন-৯৯ গাছ থেকে ৩০ বছর উৎপাদন পাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment