মাশরুম চাষে হবেন লাভবান, কীভাবে জেনে নিন
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৯ মে : মাশরুম চাষ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের জন্য একটি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে। এর চাষের জন্য খুব বেশি জমি ও অর্থের প্রয়োজন হয় না। কৃষক ভাইরা চাইলে বাড়ির ভেতরেও এর চাষ শুরু করতে পারেন। বিভিন্ন রাজ্যে মাশরুমের চাষ বাড়াতে রাজ্য সরকারগুলিও ভর্তুকি দিচ্ছে। এমতাবস্থায় কৃষকরা মাশরুম চাষ করলে বেশি লাভ হবে।
বিহারে সবচেয়ে বেশি মাশরুম উৎপন্ন হয়। এর আগে ওড়িশা এই ক্ষেত্রে এক নম্বর রাজ্য ছিল। জাতীয় উদ্যানপালন বোর্ডের মতে, ২০২১-২২ সালে বিহারে ২৮,০০০ টন মাশরুম উৎপাদিত হয়েছিল। যা দেশের মোট মাশরুম উৎপাদনের ১০ শতাংশের বেশি। বিশেষ বিষয় হল বিহার সরকার মাশরুম চাষের জন্য কৃষকদের বাম্পার ভর্তুকি দেয়। এখানে কৃষকদের মাশরুম চাষের জন্য ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়া হয়। আবার উত্তরপ্রদেশ সরকারও রাজ্যে মাশরুমের চাষ বাড়াচ্ছে। এখানে যারা মাশরুম চাষ করেন তারা ৪০ শতাংশ ভর্তুকি পান।
মাশরুম চাষ :
কৃষক ভাইয়েরা যদি এখনই মাশরুম চাষের পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে তাদের জন্য ঝিনুকের জাতের চাষ করা ভালো হবে, কারণ এটি গরমে ভালো জন্মে। মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মৌসুমটি চাষের জন্য ভালো। এই ধরনের মাশরুমের ওজন ২৫০ গ্রাম। বিশেষ বিষয় হল এর ফসল বীজ বপনের মাত্র ৩০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে তৈরি হয়। এর এক ব্যাগ থেকে কৃষক ভাইরা ১৫০ থেকে ২০৯ টাকা আয় করতে পারবেন। এই এক ব্যাগ মাশরুম চাষ করতে প্রায় ৫০ টাকা খরচ হয়। কৃষক ভাই যদি এক ব্যাগ মাশরুম বিক্রি করেন, তাহলে তিনি ১৫০ টাকা নিট লাভ পাবেন।
ঝিনুক মাশরুম চাষের জন্য গমের খড় প্রক্রিয়াজাত করা হয়। তারপর প্রক্রিয়াজাত খড়ের মধ্যে ঝিনুক জাতের বীজ বপন করা হয়। এভাবে ৩০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে মাশরুম তৈরি হয়ে যাবে। ২৫ থেকে ৩৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা ঝিনুকের জাতের জন্য ভাল। কৃষক ভাইয়েরা এর চাষ শুরু করলে ৪৫ দিনের মধ্যে ভালো আয় করতে পারবেন।
No comments:
Post a Comment