উপোস করার সুবিধা সাথে জেনে নিন অসুবিধা
ব্রেকিং বাংলা হেলথ ডেস্ক, ২৩ মে : উপোস সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। উপোস রাখলে শরীর বিষমুক্ত হয় এবং পরিপাকতন্ত্রও ঠিক থাকে। সেই সঙ্গে মানসিক ও শারীরিক সুস্থতাও বজায় থাকে। আমাদের দেশে সিয়াম সাধনার প্রথা বহু শতাব্দী প্রাচীন। প্রধানত আমরা উপবাস করি দেবতাদের প্রতি ভক্তি স্বরূপের জন্য। কিন্তু এখন ওজন কমাতে উপোস রাখা হয়। কিন্তু ওজন কমানোর যে কোনও ফর্মুলা অবলম্বন করার আগে এর সুবিধার পাশাপাশি এর অসুবিধাগুলোও জেনে নেওয়া উচিৎ -
জল উপোস
ওজন কমানোর জন্য উপোস রাখার প্রচলন রয়েছে, সেটা হল 'ওয়াটার ফাস্টিং'। নাম থেকেই স্পষ্ট যে, এতে আমরা খাবার খাই না, বরং তরল খাবার পান করি যেমন জল , ব্ল্যাক কফি এবং চিনি ছাড়া চা। অনেক গবেষণায় জলের উপোস আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলা হয়েছে এবং এটি দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকিও কমায় এবং শরীরের চর্বি ভাঙতেও সাহায্য করে। উপকারের পাশাপাশি উপোস ক্ষতিকরও বটে। একইভাবে বেশি উপোস রাখলে তা আমাদের শরীরেরও ক্ষতি করতে পারে।
ওয়াটার ফাস্টিং কী :
এর মানে জল ছাড়া অন্য কিছু খাওয়া যাবে না। জল উপোসে শরীরের পুরানো এবং ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলি আবার বিকশিত হয়।
কী ভাবে প্রভাব ফেলে?
জল উপবাসের সময় ২৪ ঘন্টা থেকে ৩ দিন পর্যন্ত হতে পারে। এর পাশাপাশি জলের উপবাস স্বাস্থ্যের অবস্থার উপরও নির্ভর করে। হার্ট, কিডনি রোগ, মাইগ্রেন, গাউট, টাইপ ১এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস থাকলে এবং গর্ভবতী মহিলাদের এই উপোস মেনে চলা উচিৎ নয়।
এই উপোসের পর ডায়েট কী হওয়া উচিৎ :
প্রথম উপোস অল্প সময়ের জন্য করতে হবে। উপোস রাখার পরপরই ভারী খাবার খাওয়া উচিৎ নয়। অল্প অল্প করে খেতে হবে এবং প্রচুর জল পান করতে হবে। এর পাশাপাশি উপোস রাখার পর বেশি করে হালকা খাবার খেতে হবে। যদি উপোসের পরে অতিরিক্ত খাওয়া হয় , তাহলে রিফিডিং সিন্ড্রোমের ঝুঁকিতে থাকতে পারেন। এই অবস্থায়, শরীরের তরল এবং ইলেক্ট্রোলাইটের মাত্রায় দ্রুত পরিবর্তন হয়।
অসুবিধা:
জল উপবাসের সময় যদি কম জল পান করলে তবে শরীরে জল শূন্যতার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এর পাশাপাশি বমি বমি ভাব, মাথাব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথা ঘোরা এবং নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা হতে পারে।
No comments:
Post a Comment