বিটরুট চাষের কৌশল
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৪ মে : বিটরুট খেতে সবাই পছন্দ করে। বেশিরভাগই এর স্যালাড আকারে বিটরুট ব্যবহার করেন। তবে অনেকেই এর জুস পান করতে পছন্দ করেন। এই ধরনের বিটরুটে প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ভিটামিন সি, ফোলেট এবং ভিটামিন বি৯ পাওয়া যায়। এটি খেলে শরীরে রক্তের অভাব হয় না। এ কারণেই বাজারে সবসময় এর চাহিদা থাকে। এমতাবস্থায় কৃষক ভাইরা যদি সুগারবিট চাষ করেন তাহলে ভালো আয় করতে পারবেন।
বিশেষ বিষয় হল বিটরুট ঔষধি গুণে পরিপূর্ণ। তাই এটি অনেক রোগের চিকিৎসায়ও ব্যবহৃত হয়। এর পাশাপাশি অনেক ধরনের আয়ুর্বেদিক ওষুধও তৈরি করা হয়। বাজারে এর রেট সবসময় প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা। এমতাবস্থায় কৃষক ভাইয়েরা যদি সুগার বিট চাষের পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে এটা তাদের জন্য সুখবর। সুগার বিট বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে।
বেলে দোআঁশ মাটিতে সুগারবিট চাষ করে ভালো ফলন পাওয়া যায়। মাটির pH মান ৬থেকে ৭ এর মধ্যে চাষের জন্য ভাল বলে মনে করা হয়। একই সঙ্গে গ্রীষ্ম, বৃষ্টি ও শীত যে কোনও মৌসুমেই চাষ করা যায়। কৃষক ভাইরা যদি গ্রীষ্মের মৌসুমে সুগারবিট চাষের পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে সবার আগে ভালো জাত বেছে নিন। আর্লি ওয়ান্ডার, ইজিপ্টের ক্রসবি, ডেট্রয়েট ডার্ক রেড, ক্রিমসন গ্লোব, রুবি রানি, রোমানস্কায়া এবং এমএসএইচ ১০২ হল বিটরুটের সবচেয়ে জনপ্রিয় জাত। এসব জাতের চাষ করলে বাম্পার ফলন পাওয়া যাবে।
সুগার বিট বপন করার আগে, ক্ষেত কয়েকবার চাষ করা হয়। তারপর জমিতে একর প্রতি ৪ টন হারে গোবর প্রয়োগ করুন এবং বোর্ড বসিয়ে জমি সমতল করুন। এর পরে, জমি প্রস্তুত করুন এবং বিটরুট বপন করুন। বিশেষ বিষয় হল বীটরুট ছিটিয়ে বপন করা হয়। ছিটনো পদ্ধতিতে বপন করলে এক একরে ৪ কেজি বীজ লাগবে। অন্যদিকে রিজ পদ্ধতিতে বপনের জন্য কম বীজের প্রয়োজন হয়। বাঁধ পদ্ধতিতে প্রথমে ১০ ইঞ্চি উঁচু বাঁধ তৈরি করা হয়। তারপর,৩-৩ ইঞ্চি দূরত্বে বীজ বপন করা হয়।
বিটরুট একটি কন্দ জাতীয় ফসল। যে কারণে এটি সময়ে সময়ে আগাছা হয়। এর পাশাপাশি প্রয়োজন অনুযায়ী সেচ দিতে হয়। বীজ বপনের ১২৯ দিন পরে ফসল প্রস্তুত হয়। এক হেক্টর জমিতে চাষ করলে ৩০০ কুইন্টাল পর্যন্ত ফলন পাওয়া যাবে। বিটরুট যদি প্রতি কেজি ৩০ টাকায় বিক্রি হয়, তাহলে তা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় হবে।
No comments:
Post a Comment