পাকিস্তানে ক্ষমতাশালীদের বেতন, কে পায় সবচেয়ে বেশী?
ব্রেকিং বাংলা ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ১৯ মে : পাকিস্তানে গণতন্ত্রের অবস্থা বিপন্ন। এরই মধ্যে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের বেতন ও উচ্চ পদের হিসাব প্রকাশ করেছে। এদেশের মতো নয়, আসলে পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি সেখানকার রাষ্ট্রপতির চেয়ে অনেক বেশি বেতন পান। প্রতিবেদনে আরও অনেক আধিকারিক বেতনের কথাও উঠে এসেছে। চলুন জেনে নেই বিস্তারিত-
দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে পাকিস্তানের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের বেতনের তথ্য দিয়েছে। বেতনের কথা জানিয়েছেন পাকিস্তানের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান নূর খান। এতে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি এবং মন্ত্রীরাও রয়েছেন। বেতন পাকিস্তানি রুপি উল্লেখ করা হয়. এদেশের এক টাকা পাকিস্তানের ৩.৪৫ টাকার সমান।
সর্বোচ্চ বেতন পান:
প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি সবচেয়ে বেশি বেতন পান। এর পর আসে রাষ্ট্রপতির বেতন। যেখানে পাকিস্তানে রাষ্ট্রপতিই সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব। আশ্চর্যের বিষয় হল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বেতন বাকি মন্ত্রীদের থেকে কম।
প্রধান বিচারপতি - PKR ১,৫২৭,৩৯৯
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক - PKR ১,৪৭০,৭১১
রাষ্ট্রপতি - PKR ৮৯৬,৫৫০
গ্রেড-২২ অফিসার - ৫,৯১,৪৭৫
ফেডারেল মন্ত্রী - PKR ৩৩৮,১২৫
প্রধানমন্ত্রী - PKR ২০১,৫৭৪
এমপি - PKR ১৮৮,০০০
পাকিস্তানের সংসদ কেমন:
পাকিস্তানের সংসদকে বলা হয় মজলিস-ই-শুরা। ১৯৬০ সাল পর্যন্ত এটি পাকিস্তানের করাচিতে ছিল। এরপর এটি পাকিস্তানের ইসলামাবাদে স্থানান্তরিত হয়। পাকিস্তান ও এদেশের সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী নির্বাচনের প্রক্রিয়া প্রায় একই রকম। এদেশের মতো পাকিস্তানের দুটি ঘর আছে। নিম্নকক্ষ অর্থাৎ জাতীয় পরিষদকে কওমি পরিষদ বলা হয়। অন্যদিকে, উচ্চকক্ষ অর্থাৎ সিনেটকে বলা হয় আইওয়ান-ই বালা।
কওমি বিধানসভায় মোট ৩৪২টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে ২৪২টি আসন নির্বাচনের মাধ্যমে পূরণ করা হয় এবং বাকি ৭০টি আসন নারী ও সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত। সদস্যদের মেয়াদ ৫ বছর। ইভান-ই বালায় মতো,এটি কখনই পরিবর্তন হয় না। এর সদস্যদের মেয়াদ ৬ বছর।
No comments:
Post a Comment