অভিনেত্রী সোনালি কুলকার্নির অজানা কথা
ব্রেকিং বাংলা বিনোদন ডেস্ক, ২৪ মে : খুব অল্প বয়সে সাফল্যের স্বাদ পাওয়া সোনালি কুলকার্নির জীবনটা ছিল স্বপ্নের মতো। তবে সোনালীর জীবন সবসময় এমন ছিল না। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অনেক সংগ্রাম করেছেন। আসলে ২৪ মে সোনালির বিবাহবার্ষিকী। চলুন জেনে নেই তাঁর অজানা তথ্য-
ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল:
১৯৭৪ সালের ১৮ই মে মহারাষ্ট্রের পুনেতে এক তারকা জন্মগ্রহণ করেন, যার নাম ছিল সোনালী। মাত্র ১৮ বছর বয়সে এই তারকা তার চলচ্চিত্র যাত্রা শুরু করেছিলেন, কিন্তু তার আগে তিনি তার পড়াশোনার কারণ দেখিয়ে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করতে অস্বীকার করেছিলেন। আসলে, এটি ছিল গিরিশ কার্নাডের কন্নড় ছবি চেলুভি, সেখানে তিনি সোনালিকে অভিনেত্রী বানাতে চেয়েছিলেন। গিরিশের প্ররোচনায় রাজি হন সোনালী।
কন্নড়, মারাঠি, গুজরাটি এবং তামিল ছবির পাশাপাশি সোনালি হিন্দি ছবিতেও তার অভিনয় দেখিয়েছেন। তিনি অমল পালেকারের ফিল্ম দায়রা দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন, তারপরে তিনি ঘরে ঘরে পরিচিতি পান। তিনি বিশ্বাস করেন যে ভাষা কোন ব্যাপার না। আসল খেলা চরিত্রের।
সোনালি তার জীবনের প্রতিটি সাফল্য তার প্রথম প্রচেষ্টায় অর্জন করেছিলেন, কিন্তু তিনি প্রথমবারের মতো ইশক কি গালিতে এটির জন্য অনুশোচনা করেছিলেন। আসলে, সোনালি প্রথমে থিয়েটার-ফিল্ম ডিরেক্টর চন্দ্রকান্ত কুলকার্নির সাথে থিতু হন। বলা হয়, দুজনের মধ্যে কোনো সমন্বয় ছিল না, যার কারণে এই সম্পর্ক শীঘ্রই ভেঙে যায়।
চন্দ্রকান্তের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে সোনালী এককভাবে তার জীবন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ সোনি এন্টারটেইনমেন্ট টেলিভিশনের প্রধান নচিকেত পান্তবেদ্যও এই গাড়িতে সহযাত্রী হয়ে ওঠেন। ধীরে ধীরে, বৈঠকের ধারা বাড়তে থাকে এবং ২৪শে মে, ২০১০ তারিখে, তারা গাঁটছড়া বাঁধেন।
সোনালির পড়া-লেখারও খুব শখ। দ্যাটস সো কুল শিরোনামে তিনি একটি সাপ্তাহিক কলাম লিখতেন। পরে বইটিও একই নামে প্রকাশিত হয়। সোনালি কুলকার্নি একটি মারাঠি পত্রিকার সম্পাদকও ছিলেন। তিনি তার কর্মজীবনে তিনটি মারাঠি পুরস্কার, একটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার এবং একটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সহ অনেক বিখ্যাত পুরস্কার জিতেছেন।
No comments:
Post a Comment