মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করবেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল

মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করবেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল

নিজস্ব প্রতিবেদন, কলকাতা, ২৩ মে : বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের পর মঙ্গলবার কলকাতায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করবেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।তিনি বুধবার মুম্বাইতে এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার এবং শিবসেনার উদ্ধব-বালাসাহেব গ্রুপের নেতা উদ্ধব ঠাকরের সাথে দেখা করার কথা রয়েছে।  এরপর তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশে যাবেন তিনি।  তিনি বিরোধী দলের সব নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে মঙ্গলবারের বৈঠকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী জোট গঠনের বিষয়েও আলোচনা হবে।

কংগ্রেসের সঙ্গে কেজরিওয়ালের সম্পর্ক ভালো না থাকলেও কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভের পর বেশ কয়েকটি বিরোধী দলের নেতাদের শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তাতে কেজরিওয়ালের নাম ছিল না।  এমন পরিস্থিতিতে কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মার এই বক্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

 মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সম্পর্কের কথা যতদূর।  গোয়া নির্বাচনের সময় সম্পর্কের মধ্যে যে পার্থক্য এসেছিল তা এখন অতীত হয়ে গেছে।  এখন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে একে অপরের কাছাকাছি আসতে দেখা যাচ্ছে।

কংগ্রেসের সঙ্গে এই দুই নেতার সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে এই বৈঠকের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।  কংগ্রেসের জয়ের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি কর্ণাটকের জনগণকে ধন্যবাদ জানালেও প্রথমে খুব সাবধানে কংগ্রেস বা রাহুল গান্ধীর নাম নেননি।কর্ণাটকের জয়কে তিনি জনগণের বিজয় বলে অভিহিত করেছেন।  কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আমন্ত্রণ জানানো হলেও তিনি যাননি।  তার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন কাকলী ঘোষ দস্তিদার।

 এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অখিলেশ যাদবও।  নীতীশ কুমার, তেজস্বী যাদব সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন।  অখিলেশ যাদব, এইচডি কুমারস্বামী ইতিমধ্যেই বাংলা সফর করেছেন।  তাদের প্রত্যেকেই বিজেপি-বিরোধী রাজনৈতিক দলের মুখ।যদিও  আগামী ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য এই দুই নেতা কী কৌশল পরিকল্পনা করছেন তা নিয়ে রাজনৈতিক মহল বিবেচনা করছে।

 বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থার ব্যবহার, রাজ্যপালের কর্তৃত্বের অপব্যবহার, ফেডারেল ব্যবস্থা লঙ্ঘনের মতো কিছু বিষয় বিরোধী দলগুলিকে একত্রিত করতে সমানভাবে সাহায্য করছে, তবে এই ঐক্য ২০২৪ সালে বিজেপির বিরুদ্ধে স্থায়ী হবে কিনা তা দেখার বিষয়।