গুনে ভরপুর এই পাতা
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৬ মে : কারি পাতার স্বাদ ও গন্ধ এমন যে এটি খাবারের স্বাদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। যেখানে অনেকে কারিপাতা কিনে ব্যবহার করেন, সেখানে কেউ কেউ বাড়িতেও তা চাষ করেন। তাজা কারি পাতা ব্যবহার করার বিষয়টা অন্য কিছু। কারি পাতা প্রায়শই লোকেরা সবজির তরকারি তৈরিতে ব্যবহার করে। তবে জানেন কী কারি পাতা অনেক ঔষধি গুণে ভরপুর?
কারি পাতার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। কারি পাতা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এটি ঘরোয়া প্রতিকার হিসাবেও ব্যবহার করা যায়। আসুন জেনে নেই কীভাবে আয়ুর্বেদিক ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে কারি পাতা ব্যবহার করতে পারা যায়-
ধূসর চুল মোকাবেলা করতে:
সাদা চুলের সমস্যায় অনেকেই সমস্যায় পড়েন। এক্ষেত্রে কারি পাতার তেল ব্যবহার করতে পারেন। এই তেল বানাতে লাগবে তিলের তেল এবং কারি পাতা। এই পাতাগুলো তিল দিয়ে সেদ্ধ করে এই তেল ছেঁকে নিন। ঠান্ডা হওয়ার পর এই তেল মাথার ত্বকে এবং চুলে লাগাতে পারেন।
হজমের জন্য:
পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখতেও এই কারি পাতা ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য এই কারি পাতার পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি বাটারমিল্কে রেখে খেতে পারেন। এই পেস্ট পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। কারি পাতা বদহজম, অ্যাসিডিটি এবং গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
চোখের জন্য:
কারি পাতার রসের মতোও পান করতে পারেন। এজন্য জলে কারি পাতা সেদ্ধ করে নিন। এই পানীয়টি ফিল্টার করুন। ঠাণ্ডা করে পান করুন। এই পানীয়টি শুধুমাত্র চুল এবং ত্বকের জন্যই নয় চোখের জন্যও খুব ভালো।
সর্দি এবং কাশি:
এর পাশাপাশি এটি সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি দিতে কাজ করে। এজন্য ১ কাপ জলে ৫টি কারি পাতা ফুটিয়ে নিন। এটি ফিল্টার করুন। এর পরে এটি চায়ের মতো পান করতে পারেন।
No comments:
Post a Comment