সূর্যগ্রহণ কবে, জেনে নিন বিস্তারিত
ব্রেকিং বাংলা বিনোদন ডেস্ক, ১৯এপ্রিল : বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ ২০শে এপ্রিল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে। মেষ ও অশ্বিনী নক্ষত্রে এই গ্রহন ঘটবে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, প্রায় ১৯ বছর পর মেষ রাশিতে একটি সূর্যগ্রহণ হবে। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এই সূর্যগ্রহণকে অশুভ মনে করা হয়। তবে বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে গ্রহনকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়।
পৌরাণিক এবং বৈজ্ঞানিক বিশ্বাস সূর্যগ্রহণ এবং চন্দ্রগ্রহণ সাথেই জড়িত। সেজন্য গ্রহনের ব্যাখ্যাও ধর্ম ও বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে ভিন্ন।
সূর্যগ্রহণের পৌরাণিক কারণ:
সূর্য বা চন্দ্রগ্রহণের কারণ সমুদ্র মন্থনের সাথে সম্পর্কিত। এই সূত্রে সমুদ্র মন্থন থেকে নির্গত অমৃত পান করার জন্য দেবতা ও অসুরদের মধ্যে বিবাদ হয়। তারপর ভগবান বিষ্ণু মোহিনীর রূপ ধারণ করে প্রথমে দেবতাদের অমৃত পান করান। কিন্তু একজন অসুরও দেবতাদের ছদ্দবেশে বসে অমৃত পান করেন। কিন্তু সূর্য ও চন্দ্র তাকে চিনতে পেরে বিষ্ণুকে এ কথা জানান।
তখন ভগবান বিষ্ণু তার সুদর্শন চক্র দিয়ে সেই অসুরের শিরচ্ছেদ করেন। কিন্তু অমৃত পান করার কারণে তার মৃত্যু হয়নি। এই অসুরের মাথার অংশকে রাহু এবং ধড়ের অংশকে কেতু বলা হয়। এই ঘটনার পর সূর্য ও চন্দ্র রাহু-কেতুর শত্রু হয়ে ওঠে এবং রাহু-কেতু সূর্য ও চন্দ্রকে গ্রাস করে, যাকে গ্রহন বলে।
সূর্যগ্রহণ সম্পর্কিত ধর্মীয় ও বৈজ্ঞানিক বিশ্বাস:
এ সময় গর্ভবতী মহিলাদের গ্রহণের সময় ধারালো জিনিস ব্যবহার করা উচিৎ নয়। কিন্তু বিজ্ঞানীদের মতে, ধারালো বস্তুর ব্যবহার অনাগত শিশুর ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না।
ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সূর্যগ্রহণের ঘটনাকে অশুভ মনে করা হয়। কিন্তু বিজ্ঞানের জন্য, সূর্যগ্রহণের ঘটনা একটি নতুন আবিষ্কারের সুযোগের মতো।
এটি একটি ধর্মীয় বিশ্বাস যে তুলসী পাতা বা কুশ গ্রহনকালে খাদ্য ও পানীয়তে রাখা উচিৎ। এ কারণে খাদ্য ও পানীয়ের ওপর গ্রহনের কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে না।
সূর্যগ্রহণের নেতিবাচক শক্তি এড়ানোর উপায়:
সূর্যগ্রহণের সময় ঘর থেকে বের হবেন না। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলার বাড়ির বাইরে যাওয়া উচিৎ নয়।
বেশি বেশি মন্ত্র জপ করুন এবং গ্রহনকালে দেব-দেবীদের স্মরণ করুন।
সূর্যগ্রহণের সময় আগে থেকে রান্না করা খাবার খাবেন না।
সূর্যগ্রহণ শেষ হওয়ার পর স্নান করুন।
সূর্যগ্রহণের সময় পূজো, যজ্ঞ বা আরতি করা উচিৎ নয়।
গ্রহন হওয়ার আগেই খাবার ও পানীয়তে তুলসী পাতা রাখুন। এটি গ্রহনের নেতিবাচক প্রভাব দূর করে।
No comments:
Post a Comment