অভিনেতা ফিরোজ খানের ব্যক্তিগত জীবন - Breaking Bangla |breakingbangla.com | Only breaking | Breaking Bengali News Portal From Kolkata |

Breaking

Post Top Ad

Thursday 27 April 2023

অভিনেতা ফিরোজ খানের ব্যক্তিগত জীবন

 



অভিনেতা ফিরোজ খানের ব্যক্তিগত জীবন



ব্রেকিং বাংলা বিনোদন ডেস্ক, ২৭ এপ্রিল : ফিরোজ খান নিজে বলি ইন্ডাস্ট্রিতে একটি আলাদা পরিচিতি তৈরি করেছিলেন।  অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালনা ও প্রযোজনাও করেছেন।  তিনি তার ক্যারিয়ার জুড়ে ৬০ টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন এবং বলিউডের জনপ্রিয় স্টাইল আইকনদের একজন হয়ে ওঠেন।  ২০০৯ সালের ২৭শে এপ্রিল এই দিনে তিনি পৃথিবীকে বিদায় জানান।  ফিরোজ খান তার পেশাগত জীবন নিয়ে যতটা আলোচনায় ছিলেন, একইভাবে তিনি তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও শিরোনামে ছিলেন।


 কর্মজীবনে দারুণ সাফল্য:


 ফিরোজ খান তার চলচ্চিত্র জীবনে অনেক সফল চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন।  'আওরাত', 'সাফর', 'মেলা', 'উপাসনা', 'খোটে সিক্কে', 'কালা সোনা', 'ধর্মাত্ম'-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন। তিনি করেছেন 'দয়াবান', 'মিত মেরে মন কে;  'ইয়ালগার', 'প্রেম আগন', 'জানশীন'-এর মতো ছবিতে অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালনাও করেছেন।  ২০০৭ সালের ছবি 'ওয়েলকাম' ছিল অভিনেতার ক্যারিয়ারের শেষ ছবি যেখানে তিনি আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন RDX-এর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন।  ফিরোজ খান তার দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য পরিচিত।


এক মেয়ের মাকে বিয়ে করেন:


 ফিরোজ খান ১৯৬৫ সালে একজন মহিলাকে বিয়ে করেন।  একটি পার্টিতে তাঁদের দুজনের আলাপ হয়েছিল।  ওই মহিলা ছিলেন একজন ডিভোর্সি,  যার ইতিমধ্যে একটি কন্যা ছিল।  দীর্ঘ প্রেমের পর দুজন বিয়ে করেন।  তাঁদের সন্তান হল ফারদিন খান ও লায়লা খান।  কিন্তু তাদের দুজনের বিবাহিত জীবন মোটেও সুখের ছিল না।  তথ্য অনুযায়ী, বিবাহিত হয়েও  ফিরোজের সাথে একজন এয়ারহোস্টেসের সম্পর্ক ছিল।  দুজনেই লিভ-ইন-এ থাকতে শুরু করেছিলেন।


যখন তাঁর স্ত্রী এই ঘটনা জানতে পারেন তখন তিনি বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।  যদিও, পরে  ১৯৮৫ সালে বিবাহবিচ্ছেদের পর দুজনেই আলাদা হয়ে যান।


 ক্যান্সার কেড়ে নিল অভিনেতার জীবন:


 ফিরোজ খান ২৭শে এপ্রিল ২০০৯ সালে ৬৯ বছর বয়সে ফুসফুসের ক্যান্সারে মারা যান।  মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে তার চিকিৎসা করা হলেও শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো যায়নি।  মৃত্যুর আগে, অভিনেতা বেঙ্গালুরুতে তার খামারবাড়িতে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, যেখানে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad