সমুদ্রে থাকা এই প্রাণীদের শিকার হচ্ছে প্রচুর পরিমানে
মৃদুলা রায় চৌধুরী, ৩০ এপ্রিল : গরু একটি পবিত্র প্রাণী। এদেশে গরুকে মায়ের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।। কিন্তু আজকে আমরা জেনে নেব সমুদ্রের অভ্যন্তরে বাস করা সামুদ্রিক গরু সম্পর্কে -
এটি সমগ্র সমুদ্রের সবচেয়ে শান্ত প্রাণী হিসাবে বিবেচিত হয়, আসলে এই প্রাণীটি কখনই কাউকে আক্রমণ করে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও, এর দ্রুত শিকার করা হচ্ছে, এমনকি মানুষের করা দূষণের কারণে এরা দ্রুত মারা যাচ্ছে।
এই প্রাণীগুলো কেমন আছে:
এই প্রাণীগুলি দেখতে অনেকটা সামুদ্রিক সীলের মতো দেখাবে, যদিও তারা এদের থেকে বেশ আলাদা। ৫০থেকে ৬০ বছর বেঁচে থাকা এই প্রাণীরা নিরামিষভোজী এবং সমুদ্রের পৃষ্ঠে বেড়ে ওঠা ঘাস খেয়ে বেঁচে থাকে। বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে মানতী।
এরা ১২ থেকে ১৪ মাস মায়ের গর্ভে থাকে এবং তারপর জলের নিচে জন্ম নেয়। এই প্রাণীদের গলায় মোট ৬টি হাড় রয়েছে এবং তাদের ঘাড় পুরো শরীরের চেয়ে ছোট। এই প্রাণীগুলিকে যদি বাম বা ডানদিকে দেখতে হয় তবে এর জন্য তাদের পুরো শরীর ঘোরাতে হবে।
এদের পূর্বপুরুষরা কেমন :
যাকে আজ সামুদ্রিক গরু বলা হচ্ছে, তারা একসময় স্থলে বাস করত। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামুদ্রিক গরু প্রায় ৫৫ মিলিয়ন বছর আগে স্থলে বাস করত। এর সাথে এই প্রাণীটির সাথে একটি গল্পও জড়িয়ে আছে যে এটিকে সামুদ্রিক গরু বলা হলেও এর ডিএনএ হাতির মতোই।
এদের তখন চারটি পা ছিল এবং সাধারণ গরুর মতো মাটিতে ঘাস খেত। যখন পৃথিবী তার গতিপথ পরিবর্তন করে এবং সর্বত্র যখন জলে পরিণত হয়, তখন তারা জলে বসবাস করার জন্য এমনভাবে নিজেকে গড়ে নেয়।
কেন তাদের শিকার করা হচ্ছে:
সামুদ্রিক গরুর শরীরে প্রচুর চর্বি পাওয়া যায়, এই কারণে তাদের শিকারও হয় প্রচুর। এদের শুধু মাংস ও চর্বিই শিকার হয়না, মানুষের ছড়ানো দূষণের কারণেও এরা মারা যাচ্ছে। আসলে দূষণের কারণে তারা যে ঘাসের উপর বাস করে তা উৎপাদন হচ্ছে না এবং এর কারণে তারা ক্ষুধার্তও অবস্থায় মারা যাচ্ছে।
No comments:
Post a Comment