গরম কালে লেবু জল পান করার মজাই আলাদা। লেবুর জলে ভিটামিন সি পাওয়া যায়, যা শরীরকে ডিটক্স করার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। কিন্তু এই জুস আমাদের শরীরের জন্য যতটা উপকারী, শরীরের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যাও ডেকে আনতে পারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ছাড়াও ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সবজি ও ফলের রস ব্যবহার করা ঠিক নয়। চলুন জেনে নেই বিস্তারিত-
লেবু জল আমাদের কিডনির ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। ভিটামিন সি ছাড়াও লেবুতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম পাওয়া যায়। এছাড়াও লেবুতে সাইট্রাস অ্যাসিড পাওয়া যায়। শুধু লেবু জল নয়, নারকেলের জলও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। নারকেল জলে পটাসিয়াম এবং ফসফরাস পাওয়া যায়। দিনে ২বা ৩ বার লেবু বা নারকেলের জল পান করেন তবে তা ক্ষতিকারক প্রমাণিত হতে পারে। এর প্রভাব কিডনিতে দেখা যাবে।
দিনে দু থেকে তিনবার লেবু বা নারকেলের জল আসলেই বিপজ্জনক কিনা, দিল্লির জেনারেল ফিজিশিয়ান ডক্টর অজয় কুমার বলছেন, আসলে তা নয়। এটা নিয়ে খুব বেশি গবেষণাও হয়নি।
কিডনি রোগীদের এসব থেকে দূরে থাকতে হবে:
কিডনি রোগীদের বিশেষ করে সাইট্রাস ফল এবং সবুজ শাক-সবজি থেকে দূরত্ব বজায় রাখা উচিৎ। এগুলো খেলে শরীরে পটাশিয়াম ও ফসফরাসের পরিমাণ বেড়ে যায়। যদিও জুস লিভারের জন্য ভালো, কিন্তু সঠিক উপায় না জানা থাকলে তা অন্যান্য অঙ্গের ক্ষতি করতে পারে।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল বা শাকসবজি খেলে শরীরে অক্সালেটের পরিমাণ বেড়ে যায়। এসবের রস বেশি করে খেলে আমাদের শরীরে অক্সালেট ক্রিস্টাল তৈরি হতে শুরু করে, যা কিডনিতে জমা হয়। এতে পাথর ও কিডনি সংক্রান্ত রোগ হতে পারে। অতএব, লেবু বা নারকেলের জল পান করেন তবে এটিকে ডিটক্স ড্রিংকস হিসাবে বিবেচনা করে, তবে এটি অল্প পরিমাণে পান করুন।
No comments:
Post a Comment