রাজ্য শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদনের শুনানির সময়, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আদালতকে জানায় যে দুর্নীতির অর্থের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়ছে। এর পরিমাণ ১১১ কোটি থেকে ৩৫০ কোটিতে বেড়েছে তবে আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি তাঁর ডায়েরিতে কিছু চমকপ্রদ নাম পাওয়া গেছে, যা আদালতে প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
ইডি জানিয়েছে যে শান্তনুর বাড়ির সামনে ২টি পিএসও আছে। এ থেকেই বোঝা যায় তিনি কতটা প্রভাবশালী। ইডি-র কৌঁসুলি বলেছেন যে ২০১৫ সালে, একজন সাধারণ মোবাইল সিম বিক্রেতা বিশাল সম্পত্তির মালিক হয়েছিলেন। এত টাকার সম্পদ এল কোথা থেকে? তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। শান্তনু ২টি আইফোন ব্যবহার করেন। তাদের কাছ থেকে অনেক নথি, প্রবেশপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। অ্যাডমিট কার্ড ছিল তাদের যারা চাকরি পেয়েছে। উদ্ধার হওয়া ৩০০ জনের বাকি তালিকার মধ্যে কারা চাকরি পেয়েছেন, তা জানতে চাওয়া হয়েছে অধিদপ্তরকে।
ইডি-র আইনজীবী আদালতকে আরও জানান, দুটি মোবাইলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে যা খোলা আদালতে প্রকাশ করা যাবে না, তা কেস ডায়েরিতে লেখা আছে। আদালতের কাছে ইডি-র আইনজীবীর দাবি, কেস ডায়েরিতে এমন নাম, এমন তথ্য আছে দেখে হতবাক হতে হয়।
এ বিষয়ে শান্তনুর আইনজীবী বলেন, কেন তাকে ৬ দিন পর গ্রেফতার করা হলো? গ্রেফতার যদি করতেই হয় তাহলে জিজ্ঞাসাবাদের শুরুতেই কেন করা হলো না? এ বিষয়ে বিচারক বলেন, কবে গ্রেফতার করতে হবে তা তদন্তকারী অফিসার বুঝবেন। আপনি যা বলতে চান তাই বলুন। যে তথ্য পাওয়া গেছে, তদন্তে যা বেরিয়ে এসেছে তা কেস ডায়েরিতে থাকতে হবে।
No comments:
Post a Comment