বাংলার শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে তৃণমূলের দুই যুব নেতা কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে দল নিলো কড়া ব্যবস্থা।প্রাক্তন তৃণমূল মন্ত্রী এবং সাধারণ সম্পাদক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পরে, দুই যুব নেতা কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে দল বরখাস্ত করেছে। মঙ্গলবার বিকেল ৩টের দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও মন্ত্রী ড. শশী পাঁজা এ কথা জানান। তাঁদের দাবি, দলীয় পদ থেকে দুর্নীতির দায় তৃণমূল নেবে না।
ডাঃ শশী পাঁজা বলেন, "আমরা সব সময় বলে আসছি এই দুর্নীতির সমাধান চাই। যারা এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তাদের রেহাই দেওয়া হবে না।" যদিও, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে সামনে আসা আরেক তৃণমূল বিধায়ক ও নেতা মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে শাসক দল কোনও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেয়নি।ডক্টর শশী পাঁজার দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে একের পর এক তৃণমূল নেতার নাম জড়িয়ে যাচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।
ডাঃ শশী পাঁজা বলেন, অনেক রাজনৈতিক দল নিয়োগ দুর্নীতির সাথে জড়িত। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস কোনো দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় না। আমরা সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। ডঃ শশী পাঁজা প্রশ্ন তোলেন কেন বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, “দিলীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বন্ধুর কাছ থেকে এক কোটি টাকা পাওয়া গেছে। প্রসন্ন রায়ের বাড়ি থেকে দিলীপ ঘোষের নথি পাওয়া গিয়েছে । সারদা কেলেঙ্কারিতে জড়িত শুভেন্দু অধিকারী অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।"
ব্রাত্য বসু বলেন, “আমাদের অপরাধ আমরা তিনবারের নির্বাচিত সরকার। নারদ ও সারদার বিরুদ্ধে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।” তিনিআরও বলেন, “আপনি তৃণমূল কংগ্রেস চালান, সেই কারণেই আপনি দুর্নীতিগ্রস্ত, তদন্তকারী সংস্থার মাধ্যমে এমন পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। ক্ষমতাসীন হওয়া কি আমাদের অপরাধ?"
No comments:
Post a Comment