মা দুর্গার দ্বিতীয় রূপের নাম ব্রহ্মচারিণী, মার ডান হাতে একটি জপমালা এবং বাম হাতে একটি কমন্ডল রয়েছে। দেবীর এই রূপের আরাধনা করলে তপস্যা, নিস্তব্ধতা, পুণ্য ও আত্মনিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি পায় এবং অনন্ত ফল লাভ হয়। কীভাবে মা এই নাম পেলেন চলুন জেনে নেই-
মহর্ষি নারদের শিক্ষার ফলে হিমালয়ের কন্যা হিসেবে জন্ম নেওয়া পার্বতী, শিবকে স্বামী হিসেবে পাওয়ার জন্য কঠোর তপস্যা করেন, তাই তার নাম হয় ব্রহ্মচারিণী। রৌদ্র, বৃষ্টি ও প্রচন্ড ঠান্ডায় হাজার বছর বনে বসবাস করার সময় শুধুমাত্র ফল ও ফুল খেয়ে কঠোর তপস্যা করেন।
তিন হাজার বছর ধরে পতিত লতা পাতা খাওয়া এবং তারপর কয়েক হাজার বছর ধরে জলহীন ও খাদ্যহীন উপবাস পালন করার কারণে দেবীর নামও অপর্ণার দেওয়া হয়েছিল। এরপর সপ্তর্ষিরা তাঁকে দর্শন দিয়ে আশীর্বাদ দেন আর বলেন, 'তোমার তপস্যা সম্পন্ন হয়েছে। এখন শীঘ্রই ভোলে বাবার সাথে সঠিক সময়ে আপনার বিয়ে হয়ে যাবে।
ব্যবহারিক অর্থ:
ব্রহ্ম শব্দের অর্থ হল যার শুরু বা শেষ নেই, যা সর্বব্যাপী, সর্বোত্তম। ব্রহ্মচারিণী মানে যিনি অসীম, বিদ্যমান এবং অনন্তে চলমান। ব্রহ্মচর্যের অর্থও হীনমন্যতা ও নীচতা থেকে বেরিয়ে এসে সম্পূর্ণভাবে জীবনযাপন করা।
No comments:
Post a Comment