গরমে শসা খুব বেশি খাওয়া হয়। বেশিরভাগ লোকই এর স্যালাড শসা খেতে পছন্দ করেন। শসার রায়তা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো ও সুস্বাদু। শসার রায়তা রুটি, পরোটা বা ভাতের সাথে খেতে পারেন। এতে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ফাইবার, পটাসিয়াম এবং লুটিনের মতো পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, যা শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
শসার রায়তা খেলে শরীরে জলের অভাব হয় না। এটি হজমের জন্য খুবই উপকারী। চলুন জেনে নেই গরমে শসার রায়তা খাওয়ার উপকারিতা-
উপকারিতা:
শরীর হাইড্রেটেড এবং ঠান্ডা রাখে:
শসায় ৯০ শতাংশ পর্যন্ত জল থাকে, যার কারণে শরীরে জলের অভাব হয় না। গরমে শসার রায়তা খেলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা থেকে রক্ষা পাবেন। শসার শীতল প্রভাব রয়েছে, তাই এর রায়তা খেলে শরীরে শীতলতা আসে।
কোষ্ঠকাঠিন্য উপশম:
যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় থাকে তাহলে প্রতিদিন এক বাটি শসার রায়তা খাওয়া উচিৎ। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা হজমশক্তির উন্নতিতে সাহায্য করে। নিয়মিত এটি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ওজন কমাতে সহায়ক:
যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে অবশ্যই শসার রায়তা খেতে হবে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যার কারণে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে। সেই সঙ্গে এতে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম। এটি নিয়মিত খেলে ওজন কমবে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা:
শসায় রয়েছে পটাশিয়াম ও ফাইবার, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় নিয়মিত শসার রায়তা খেলে উপকার পাওয়া যায়। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও উপকারী বলে মনে করা হয়।
এবার দেখে নেই শসার রায়তা কীভাবে বানানো যাবে-
উপকরণ:
শসা- ১টি
ঘন দই- ১ কাপ
কাঁচা লঙ্কা - ২টি
জিরে গুঁড়ো - ১/২চা চামচ
সবুজ ধনে পাতা - ২টেবিল চামচ
লবণ - স্বাদ অনুযায়ী
পদ্ধতি:
শসার রায়তা তৈরি করতে প্রথমে শসা ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন। এবার পুরো শসার খোসা ছাড়িয়ে মাঝখান থেকে কেটে বীজ বের করে নিন। তারপর শসা ছেঁকে নিন।
এরপর একটি পাত্রে দই দিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিন। তারপর স্বাদ অনুযায়ী লবণ দিয়ে মেশান। এবার এতে গ্রেট করা শসা দিয়ে ভালো করে মেশান।
এর পর এতে মিহি করে কাটা কাঁচা লঙ্কা ও ভাজা জিরের গুঁড়ো দিন। এবার শসার রায়তা প্রায় আধ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন। এরপর মিহি করে কাটা ধনে দিয়ে সাজিয়ে ঠান্ডা পরিবেশন করুন।
যদি কোনও গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছেন তবে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করার পরেই এটি খাওয়া উচিৎ।
No comments:
Post a Comment