প্রথমবার বাংলায় দুদিনের সফরে এসেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। মঙ্গলবার সকালে বেলুড় মঠে পৌঁছেন দ্রৌপদী মুর্মু।বেলুড় মঠে ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ দেবের পুজো করেন রাষ্ট্রপতি। তাঁকে দেওয়া হয় প্রসাদ, মা সারদা দেবীর শাড়ি, পূজো করা শাল। সাথে স্বামী বিবেকানন্দের ওপর সম্প্রতি লেখা একটি বই উপহার হিসেবে দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতি বিকেলে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবেন, তবে তার আগেই উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দেন বুদ্ধিজীবীরা।
রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়েছেন কয়েকজন বুদ্ধিজীবী। রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের 'অনিয়ম' তুলে ধরা হয়েছে। চিঠিতে রয়েছে রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, কবির সুমন, জয় গোস্বামীর নাম।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার শান্তিনিকেতনে আসছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা নিয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর চিঠি দিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
আবার বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর অপসারণের দাবিতে রাষ্ট্রপতির কাছে খোলা চিঠি লিখেছেন প্রবীণ আশ্রমগুলি। তিনি ছাড়াও চিঠিতে মনোজ মিত্র, শুভপ্রসন্ন, কবির সুমনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টজনের নাম রয়েছে। এদিন শান্তিনিকেতনে ২০২২ শিক্ষাবর্ষের পাস আউট শিক্ষার্থীদের সমাবর্তন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি মুর্মু এবং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস উপস্থিত থাকবেন।
সোমবার লেখা চিঠিতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির কাছে লেখা চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের 'অনিয়ম' বিষয়ে বেশ কয়েকজন অধ্যাপক ও শিক্ষার্থীর মামলার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। অভিযোগের সুরে চিঠিতে বলা হয়েছে বিশ্বভারতীর অনেক আর্থিক দুর্নীতির কথা। উপাচার্যের শাসনামলে কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে প্রায় ৪০০ কর্মী-শিক্ষক এবং ছাত্রদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩০টি মামলা এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
No comments:
Post a Comment