ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে দম্পতিরা তাজমহল দেখতে যান। তাজমহলকে বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্য এবং ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
তবে শুধু তাজমহল নয়, মথুরার বৃন্দাবনে অবস্থিত 'প্রেম মন্দির'ও ভালোবাসার প্রতীক। এটা বিশ্বাস করা হয় যে জোড়ায় এই মন্দিরে গেলে সমস্ত ইচ্ছে পূরণ হয় এবং ভালবাসা বৃদ্ধি পায়।
মথুরা ও বৃন্দাবনে শ্রী কৃষ্ণ ও রাধার অনেক বিখ্যাত মন্দির রয়েছে। এই সমস্ত মন্দিরের সাথে ইতিহাস ও পৌরাণিক বিশ্বাস জড়িত। অনেক মন্দিরের স্থাপত্য চমৎকার। কিন্তু বৃন্দাবনে অবস্থিত প্রেম মন্দির সারা বিশ্বে বিখ্যাত।
এই মন্দির এতই সুন্দর যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাকিয়ে থাকলে মন জুড়িয়ে যায়। প্রেম মন্দিরকে ভালোবাসার প্রতীক মনে করা হয়। প্রসঙ্গত, এখানে প্রতিদিনই মানুষের ভিড় দেখা যায়। চলুন জেনে নেই প্রেম মন্দির সম্পর্কে কিছু রহস্যময় বিষয়-
প্রেম মন্দিরের বিশেষত্ব:
বৃন্দাবনের প্রেম মন্দির শ্রী কৃষ্ণ ও রাধার প্রেমে নিবেদিত। এর পাশাপাশি এই মন্দিরটি ভগবান রাম ও মাতা সীতাকেও উৎসর্গ করা হয়েছে। মন্দিরের কাঠামো পঞ্চম জগদ্গুরু কৃপালু মহারাজজি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
প্রেম মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০০১ সালে। প্রেম মন্দিরের উচ্চতা ১২৫ এবং দৈর্ঘ্য ১২২ ফুট। এর প্রস্থ প্রায় ১১৫ ফুট। মন্দিরটি ইতালি থেকে আমদানি করা মার্বেল পাথর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
মন্দিরে শ্রী কৃষ্ণের সুন্দর ছক সহ রাম-সীতার একটি সুন্দর ফুলের বাংলোও রয়েছে। মন্দিরটি ২০১৮ সালে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিল।
প্রেম মন্দিরের বিশেষত্ব হল এটি দিনে সাদা এবং সন্ধ্যায় বিভিন্ন রঙে দেখা যায়। মন্দিরে এমনভাবে আলোকসজ্জা করা হয়েছে যাতে প্রতি ৩০ সেকেন্ডে মন্দিরের রঙ পরিবর্তন হতে দেখা যায়।
No comments:
Post a Comment