কুকুরকে বলা হয় মানুষের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু। সেনাবাহিনী অনেক কাজে এই কুকুর ব্যবহার করে। বলা হয়, সেনাবাহিনীতে কুকুর ও ঘোড়াদের অবসর নেওয়ার পর তাদের গুলি করে মেরে ফেলা হয়। কিন্তু সত্যিই কি সেনাবাহিনী এই কাজ করে? আসুন জেনে নেই এর মধ্যে থাকা সত্যতা-
সেনাবাহিনীতে সৈন্যদের মতো কুকুরদেরও নিয়োগ করা হয় এবং তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সেনাবাহিনী বেশিরভাগ ল্যাব্রাডর, জার্মান শেফার্ড, বেলজিয়ান শেফার্ড জাতের কুকুর নিয়োগ করে। এই কুকুরদের পদমর্যাদা ও নাম দেওয়া হয়, সেইসাথে তাদের অবসরে অনেক আচার-অনুষ্ঠান অনুসরণ করা হয়।
কুকুরদের কি সত্যিই গুলি করা হয়:
দ্য প্রিন্টের এক প্রতিবেদনে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আলাপচারিতায় বলেছেন, এই তথ্যটি ভুল। প্রতিবেদনে বলা হয়, সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বলেছেন, ২০১৫ সালে সরকারের অনুমোদনের পর সেনাবাহিনী পশু হত্যা বন্ধ করেছে। অর্থাৎ অবসর নেওয়ার পর সেনাবাহিনীর কুকুর গুলি করে না। তিনি আরও বলেন, যারা কোনও দুরারোগ্য রোগে ভুগছেন শুধুমাত্র তাদেরই ইথানেশিয়া দেওয়া হয়।
সেনা কুকুরকে গুলি করার দাবির পিছনে বলা হয় যে ভারতীয় সেনাবাহিনী দেশের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এই কাজ করত। কুকুরেরা অবসর নেওয়ার পরে, যদি ভুল হাতে পড়ে, যাতে কেউ তাদের অপব্যবহার করতে না পারে, তাই এই বিশেষজ্ঞরা কুকুরগুলিকে গুলি করত। এর পাশাপাশি কুকুরদের কাছে সেনাবাহিনীর নিরাপদ ও গোয়েন্দা ঘাঁটির সম্পূর্ণ তথ্য রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
অবসর নেওয়ার পর এই কুকুরগুলোর কী হয় :
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, অবসরের পর সেনাবাহিনীর কুকুরদের নিয়ে কী করা হয়? ভারতীয় সেনাবাহিনীর দেওয়া তথ্য অনুসারে, অবসর নেওয়ার পরে, এই কুকুরগুলিকে উত্তরাখণ্ডের মিরাটে (কুকুরের জন্য) এবং হেমপুরে (ঘোড়ার জন্য) 'বৃদ্ধাশ্রমে' পাঠানো হয়। যেখানে তাদের বিশেষ যত্ন নেওয়া হয় এবং থাকার জায়গা দেওয়া হয়।
No comments:
Post a Comment