গোয়ার নার্ভে বিচোলিমে শ্রী সপ্তকোটেশ্বর মন্দির সংস্কার নিয়ে খুশি প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী ডঃ প্রমোদ সাওয়ান্তের একটি টুইট রিটুইট করেছেন। তিনি লিখেছেন যে নরওয়েতে সংস্কার করা শ্রী সপ্তকোটেশ্বর দেবস্থান, বিকোলিম আমাদের তরুণদের আমাদের আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের সাথে সংযুক্ত করবে। এটি গোয়ার পর্যটনকে আরও উৎসাহিত করবে।
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীর টুইটের জবাবে, প্রমোদ সাওয়ান্ত ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছাড়াও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও মন্দির পুনরুদ্ধারের জন্য গোয়া সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
সপ্তকোটেশ্বর দেবস্থান পানাজি থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে উত্তর গোয়া জেলার নার্ভে গ্রামে অবস্থিত। তিন শতাব্দী আগে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ এটির সংস্কার করেছিলেন। এখন শনিবার, গোয়া সরকারের আর্কাইভস এবং প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ মন্দিরটি সংস্কার করেছে।
১৩৫২ সালে সুলতান আলাউদ্দিন হাসান গাঙ্গু কদম্ব রাজ্য জয় করলে প্রায় ১৪ বছর গোয়া সুলতানের অধীনে ছিল। কথিত আছে যে এই সময়ে অনেক মন্দির ধ্বংস করা হয় এবং এতে সপ্তকোটেশ্বর মন্দিরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
১৩৬৭ সালে, বিজয়নগর রাজা হরিহর রায়ের সেনাবাহিনী গোয়ায় সুলতানকে পরাজিত করে। এর পরে তিনি সপ্তকোটেশ্বর সহ আরও অনেক মন্দিরকে তার গৌরব ফিরিয়ে আনতে সফল হন।
এরপর ১৫৬০সালে পর্তুগিজরা আবার মন্দিরটি ভেঙে ফেলে। এরপর মারাঠা ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ ১৬৬৮ সালে এটি সংস্কার করেন।
শ্রী সপ্তকোটেশ্বর দেবস্থানের গুরুত্ব:
পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, সপ্তকোটেশ্বর হলেন শিবের রূপ। তিনি দ্বাদশ শতাব্দীর দিকে কদম্ব রাজবংশের রাজাদের অন্যতম প্রধান দেবতা। এই মন্দিরটি রাজা তার স্ত্রী কমল দেবীর জন্য তৈরি করেছিলেন যিনি এই দেবতার ভক্ত ছিলেন।
মন্দিরটির নিজস্ব প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব রয়েছে। এর আশেপাশে একটি জৈন মঠ ছিল। যার ধ্বংসাবশেষ আজও দেখা যায়। মন্দিরের সামনে ল্যাম্পপোস্টের ডানদিকে কালভৈরবের মন্দির রয়েছে। এর বাইরে পাথরে খোদাই করা দত্তাত্রেয়ের পাদুকাগুলো দৃশ্যমান। মন্দিরের পে পেছনে রয়েছে খোদাই করা পাথরের দেয়াল। মন্দিরের কাছে একটি পুকুর রয়েছে যা পঞ্চগঙ্গা তীর্থ নামে পরিচিত।
No comments:
Post a Comment