ভোটের সময় ইভিএম মেশিন ব্যবহার করা হয়। ইভিএম এর পূর্ণরূপ হল ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন। এটি একটি ইলেকট্রনিক মেশিন যা ভোট সংগ্রহ ও রেকর্ড করতে ব্যবহৃত হয়।
ইভিএমের আগে নির্বাচন পরিচালনার জন্য কাগজ বা স্লিপ বা ব্যালট বক্স সিস্টেম ব্যবহার করা হতো। ইভিএমে একজন ভোটার যেকোনও রাজনৈতিক দলকে ভোট দিতে পারবেন। এই মেশিনে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধির জন্য আলাদা আলাদা বোতাম থাকে, যার ওপর ওই দলের প্রতীকও তৈরি হয়। কিন্তু প্রশ্ন হল ইভিএম কি হ্যাক করা যায়? চলুন জেনে নেই উত্তর-
ইভিএম মেশিন :
ইভিএম মেশিন দুটি ডিভাইসের সমন্বয়ে গঠিত, যার মধ্যে প্রথম ডিভাইসের নাম কন্ট্রোল ইউনিট এবং দ্বিতীয় ডিভাইসের নাম ব্যালটিং ইউনিট।
এই দুটি ডিভাইস একটি দীর্ঘ তারের দ্বারা একে অপরের সাথে সংযুক্ত করা হয়। মেশিনের কন্ট্রোল ইউনিট ব্যালটিং ইউনিটকে নিয়ন্ত্রণ করে। ইভিএমের কন্ট্রোল ইউনিট পোলিং অফিসার ব্যবহার করেন।
ভোটগ্রহণ আধিকারিক কন্ট্রোল ইউনিটের বোতাম না চাপলে কেউ ইভিএমের বোতাম চেপে ভোট দিতে পারবেন না। ভোট দেওয়া হলে এই মেশিনটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে লক হয়ে যায়।
ইভিএম কি হ্যাক করা যায়:
ইভিএমে কারচুপির কথাও অনেকবার শোনা গেছে। এই মেশিনগুলো কোনও ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের সাথে কানেক্ট করা নেই তাই এগুলো হ্যাক করা সম্ভব নয়।
যদিও এটাও দাবি করা হয় যে এই মেশিনগুলির নিজস্ব ফ্রিকোয়েন্সি রয়েছে, যার কারণে সেগুলি হ্যাক করা যেতে পারে, তবে এই ধরনের দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি।
No comments:
Post a Comment