ভগবান শিবের পূজোয় বেলপাতা লাগে। শিবপুরাণে বেলপত্র নিবেদনের বিষয়ে বলা হয়েছে যে বেলপত্র ছাড়া ভগবান শিবের পূজো অসম্পূর্ণ। শিবলিঙ্গে এক গ্লাস জল এবং বেলপাতার নিবেদন করলে ভোলেনাথ শীঘ্রই খুশি হন এবং ভক্তদের সমস্ত ইচ্ছে পূরণ করেন।
স্কন্দপুরাণে বেলপত্র গাছের উৎপত্তি সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, একবার দেবী পার্বতীর কপালের ঘামের কিছু ফোঁটা মন্দার পর্বতে পড়েছিল। এভাবেই বেল গাছের উৎপত্তি হয়।
বেল গাছ সমৃদ্ধির প্রতীক। আসুন জেনে নেই শিবলিঙ্গে বেলপত্র অর্পণের নিয়ম, গুরুত্ব এবং এর কিছু প্রতিকার-
শিবপূজোয় বেলপাতা :
পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, সমুদ্র মন্থনের সময় যখন বিষ বেরিয়ে আসে, তখন ভগবান শিব এই বিষটি নিজের গলায় ধারণ করে ছিলেন মহাবিশ্বকে রক্ষা করার জন্য।
বিষ গলায় ধারণ করা মাত্রই , এই বিষ ভগবান শিবকে প্রভাবিত করতে শুরু করে। তারপর এই বিষের প্রভাব কমানোর জন্য সমস্ত দেবদেবীরা ভগবান শিবকে বেলপত্র খাওয়াতে শুরু করেছিলেন। ভোলানাথকে বেলপাতা খাওয়ানো এবং জলের প্রভাবে তাঁর শরীরের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। তখন থেকেই ভগবান শিবকে বেলপত্র ও জল নিবেদনের প্রথা শুরু হয়।
বেলপত্রের গুরুত্ব:
এমন বিশ্বাস যে যাদের বাড়িতে বেলপত্র গাছ থাকে তাদের সম্পদ-শস্যের অভাব হয় না এবং সুখ-সমৃদ্ধি আসে। শিবলিঙ্গে বেলপত্রের তিনটি পাতা অর্পণের গুরুত্ব রয়েছে।
বেলপত্র ছেঁড়ার ও নৈবেদ্য করার নিয়ম:
বেলপত্র যেকোনও দিন ছেঁড়া যায় না। চতুর্থী, অষ্টমী, নবমী, দ্বাদশী, চতুর্দশী, অমাবস্যা, পূর্ণিমা, সংক্রান্তি এবং সোমবারে বেলপত্র ছেঁড়া উচিৎ নয়।
যখনই শিবকে বেলপত্র নিবেদন করা হয়, মসৃণ পৃষ্ঠের দিকটি শিবলিঙ্গকে স্পর্শ করা উচিৎ। অনামিকা, বুড়ো আঙুল এবং মধ্যমা আঙুল দিয়ে সর্বদা বেলপত্র অর্পণ করতে হবে।
শিবলিঙ্গে বেলপত্রের মাত্র তিনটি পাতা নিবেদন করতে হয়। এই পাতাগুলি কখনই কাটা বা ছেঁড়া উচিৎ নয়।
শিবলিঙ্গে চন্দন দিয়ে ওম নমঃ শিবায় লিখে নিবেদন করলে বিয়ে শীঘ্রই স্থির হয়।
No comments:
Post a Comment