আমরা জানি শ্রী হনুমানের পূজো করলে ঝামেলা দূর হয়ে যায় , সমস্ত ইচ্ছে পূরণ হয় বলে মনে করা হয়। এমন অনেক বজরঙ্গবলীর মন্দির আছে, যেখানে নিছক দর্শন ও পূজো করলেই জীবনের সমস্ত দুঃখ দূর হয়ে যায়। এই পবিত্র মন্দিরটি মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহর থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে সানবার গ্রামে অবস্থিত। এখানে উল্টো হনুমানের পূজো করা হয়। আসুন জেনে নেই বজরঙ্গবলীর কেন উল্টো পূজো করা হয়-
এই হনুমান মন্দিরটি রামায়ণ যুগের বলে মনে করা হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে ত্রেতাযুগে, যখন ভগবান শ্রী রাম এবং লঙ্কাপতি রাবণের মধ্যে যুদ্ধ চলছিল, সেই সময় অহিরাবন তার রূপ পরিবর্তন করে শ্রী রামের সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। একদিন রাতে যখন সবাই ঘুমচ্ছিল, তখন অহিরাবণ গোপনে ভগবান রাম ও লক্ষ্মণের কাছে পৌঁছে তাঁর শক্তি দিয়ে তাদের অজ্ঞান করে দেন। এর পর তিনি ভগবান শ্রী রাম ও লক্ষ্মণকে অপহরণ করে পাতাল লোকে নিয়ে যান।
পরের দিন, যখন সবাই এই কথা জানতে পারে, তখন বায়ুপুত্র হনুমান স্বয়ং ভগবান শ্রী রাম ও লক্ষ্মণের সন্ধানে পাতাল লোকে যান এবং অহিরাবণকে হত্যা করে তাদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনেন।
এটি বিশ্বাস করা হয় যে শ্রী হনুমান পাতাল লোক যাত্রা সন্ধ্যায় শুরু হয়েছিল এবং তিনি পাতাল লোকে যাত্রা কালে যাতে কেউ জানতে না পারে তাই উল্টো করে হেঁটেছিলেন। অর্থাৎ মাথা নীচে আর পা ওপরে। এই কারণেই এই স্থানে তাঁর রূপের পূজো করা হয়।
হনুমানের এই মূর্তিটি জাগ্রত মূর্তি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে যে এই বজরঙ্গবলীর পবিত্র মন্দিরে এসে উল্টোনো মূর্তির পুজো করেন, তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় সংকট চোখের পলকে চলে যায়।
এই কারণেই প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক ভক্ত এখানে আসেন। আর এই মন্দির সম্পর্কে বিশ্বাস করা হয় যে যদি কোনও ব্যক্তি এখানে এসে পরপর তিন বা পাঁচ মঙ্গলবার পূজো করেন তবে তার মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়।
No comments:
Post a Comment