উত্তরাখন্ডে বদ্রীনাথ, কেদারনাথ, হরিদ্বার, গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী রয়েছে। এই শহরে ঈশ্বর দর্শন পাওয়া যায়। মনোরম রূপ দেখতেই হোক বা তুষারপাত উপভোগ করতেই হোক, উত্তরাখণ্ডে যাওয়া হয় বিপুল সংখ্যক লোকের।
তবে এতো কিছু ছাড়াও এই শহরের একটি দিক রয়েছে, যা বেশ ভীতিকর। উত্তরাখণ্ডের পাহাড়গুলো যেমন বিশাল তেমনি রোমাঞ্চকর এবং একই সাথে ভীতিকর। আসুন জেনে নেই উত্তরাখণ্ডের কোন কোন জায়গাগুলো খুবই ভয়ের-
মুসৌরির লাম্বি দেহর খনি:
স্থানীয় কিংবদন্তি অনুসারে, ১৯৯০ এর দশকে খনি খনন করার সময় কমপক্ষে ৫০,০০০ শ্রমিক ফুসফুসের কোনো রোগে কাশিতে রক্তপাত হওয়ায় মারা গিয়েছিল। সেই থেকে মুসৌরির দেহর খনি এখন ভুতুড়ে খনি হয়ে ওঠে। স্থানীয় লোকজন রাতের বেলায় কান্নাকাটি ও হাহাকারের ভীতিকর শব্দ শোনেন। এসব ঘটনার কারণে ১৯৯৬ সালে এই খনিটি বন্ধ হয়ে যায়।
লোহাঘাট, অ্যাবট হিল:
দেবভূমি নামে পরিচিত উত্তরাখণ্ডের চম্পাবত জেলায় অবস্থিত লোহাঘাটে মুক্তি কোঠারি নামে একটি ভয়ঙ্কর বাংলো রয়েছে। অ্যাবট হিলে অবস্থিত এই বাংলোটিকে রাজ্যের সবচেয়ে ভুতুড়ে জায়গা বলে মনে করা হয়।
বিশ্বাস করা হয় তবে এই বাংলোটি একটি ব্রিটিশ পরিবারের ছিল। এই পরিবারটি এই বাংলোটিকে একটি হাসপাতাল করার জন্য দান করেছিল। এই হাসপাতালে একজন নতুন ডাক্তার প্রবেশ করেন, আর তিনি যে কারোর মৃত্যুর ভবিষ্যদ্বাণী করে দিতেন। আর যা সত্য প্রমাণিত হত।
স্থানীয় লোকজনের মতে, ডাক্তার তার ভবিষ্যদ্বাণীকে সঠিক প্রমাণ করতে নিরপরাধ রোগীদের 'মুক্তি কোঠারি' নামক একটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে খুন করতেন। কথিত আছে, মৃত রোগীদের আত্মা আজও এই বাংলোতে বিচরণ করে।
মুলিঙ্গার ম্যানশন:
উত্তরাখণ্ডে ১৮২৫ সালের আগে নির্মিত মুলিঙ্গার হাভেলি। এই অট্টালিকাটির মালিকের কী হয়েছিল তা কেউ জানে না। কিভাবে এই প্রাসাদ জনশূন্য হয়ে গেল? এটাও কেউ জানে না। স্থানীয় লোকজন বলে থাকেন, এখানে কিছু অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। কথিত আছে, এই প্রাসাদের প্রথম মালিক ক্যাপ্টেন ইয়াং-এর ভূত এখনও বাড়িতে ঘুরে বেড়ায়।
পরী টিব্বা :
মুসৌরির কাছে পরী টিব্বা আছে। এখানে বজ্রপাত হয়ে থাকে। এখানকার স্থানীয় লোকজনের মতে, বজ্রপাতে দুই প্রেমিক দম্পতির মৃত্যু হয় এবং তাদের আত্মা এখনও এই জায়গায় ঘুরে বেড়ায়।
No comments:
Post a Comment