আসলে ভুল খাওয়া-দাওয়ার কারণে হৃৎপিণ্ডের ধমনীতে চর্বি বা আঠালো পদার্থ জমতে শুরু করে, যা ধীরে ধীরে গুচ্ছে পরিণত হতে থাকে। এতে হৃৎপিণ্ডে সঠিকভাবে রক্ত পৌঁছাতে বাধা দেয়, যার ফলে হার্টের ওপর চাপ বেড়ে যায় এবং আমরা হার্ট সংক্রান্ত অনেক রোগের শিকার হই। এর ফলে হার্টে ব্লকেজ হতে থাকে। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না হলে মৃত্যু নিশ্চিত। তাহলে কি করা উচিত যাতে হার্ট ব্লকেজের সম্মুখীন হতে না হয়? এখানে আমরা এমন পাঁচটি ফলের কথা বলছি যা হার্ট ব্লকেজ হতে দেবে না।
বেরি:
ব্ল্যাকবেরি এবং স্ট্রবেরি আমাদের দেশের প্রধান বেরি। এছাড়াও ব্লুবেরি, রাস্পবেরি ইত্যাদি আমরা এই ক্যাটাগরিতে আঙ্গুরও রাখতে পারি। বেরিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। এছাড়াও এটি ভিটামিন, খনিজ এবং উদ্ভিদ যৌগ সমৃদ্ধ। বেরি খেলে খারাপ কোলেস্টেরল কমে এবং রক্তচাপ ও চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এটি খেলে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
টমেটো:
টমেটো শুধু সবজিতে রাখার জিনিস নয়। এটি আলাদাভাবে সেবন করলে হার্ট ব্লকেজের সমস্যাও কমে। এতে অনেক ধরনের উদ্ভিদ যৌগ পাওয়া যায় যা এথেরোস্ক্লেরোসিসের ঝুঁকি কমায়। এতে উপস্থিত লাইকোপিন হার্টে ব্লকেজের ঝুঁকি কমায়।
সাইট্রাস রসালো ফল:
কমলা এবং লেবুর মতো সাইট্রাস ফল হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে খুবই সহায়ক। সাইট্রাস ফলের ফ্ল্যাভোনয়েড শরীরকে ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে। এতে অনেক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। এই সব একসাথে খারাপ কোলেস্টেরল কমায়।
বীট:
বিটরুট নাইট্রেটের একটি বড় উৎস। নাইট্রিক অক্সাইড শরীরে একটি বিশাল ভূমিকা আছে। এটি শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নাইট্রিক অক্সাইডের কারণে শরীরে প্রদাহ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। এটি রক্তনালীতে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। তাই এটি হার্ট ব্লকেজের ঝুঁকি অনেকাংশে কমায়।
আখরোট:
আমরা সবাই জানি আখরোট হার্ট এবং মন উভয়ের জন্যই খুবই উপকারী। এতে রয়েছে প্রোটিন, ফাইবার, স্বাস্থ্যকর চর্বি, ভিটামিন, মিনারেল ইত্যাদি। এছাড়া ওমেগা অ্যাসিডের উপস্থিতি এর গুণাগুণকে আরও বাড়িয়ে দেয়। এই কারণেই আখরোট হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য একটি ওষুধ।
No comments:
Post a Comment