তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাই সহ দেশের অনেক উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় 'মান্ডুস'। এর আগে দেশে আসা কিছু প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কথা, এরা কতটা তান্ডব করেছিল চলুন জেনে নেই -
ওড়িশা ঘূর্ণিঝড় বা সুপার সাইক্লোন (১৯৯৯) : এটি ছিল উত্তর ভারত মহাসাগরে রেকর্ড করা সবচেয়ে শক্তিশালী ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়। এটি ২৯শে অক্টোবর ওড়িশায় ল্যান্ডফল করেছিল। এই ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ৯৮৮৭জন জন মারা গেছে এবং হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ভোলা (১৯৭০) :
এটি ১৯৭০ সালে বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায় এটি। এই ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ৩-৫ লক্ষ লোক মারা যায়।
ঘূর্ণিঝড় প্যায়ার (২০০৫) :
এই ঘূর্ণিঝড়টি সেপ্টেম্বর মাসে বঙ্গোপসাগরে একটি বিরল উত্তর-পূর্ব থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম পথে ট্র্যাক করে এবং অন্ধ্র প্রদেশের কলিঙ্গাপত্তনমে ল্যান্ডফল করে। এর কোপে অন্ধ্র প্রদেশ এবং ওড়িশার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ৬৫ জন মারা যান।
ঘূর্ণিঝড় নিশা (২০০৮) :
২০০৮এর ডিসেম্বর মাসে, ঘূর্ণিঝড় নিশা তামিলনাড়ু এবং শ্রীলঙ্কায় মারাত্মক বিপর্যয় আনে। এই ঝড়ে প্রায় ২০০ মানুষের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
ঘূর্ণিঝড় ফায়ান (২০০৯) :
৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৯-এ, ঝড়টি শ্রীলঙ্কার কলম্বোর দক্ষিণ-পশ্চিমে উৎপন্ন হয় এবং তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাটকে প্রভাবিত করেছিল।
ঘূর্ণিঝড় নীলম (২০১২) :
নীলম ২০১২এর ৩১শে অক্টোবর মহাবালিপুরমের কাছে ৮৫ কিমি/ঘন্টা বেগে অবিরাম বাতাস সহ একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসাবে স্থলভাগে আছড়ে পড়ে। এই ঘূর্ণিঝড়ে ৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়াও এসেছে ঘূর্ণিঝড় ফ্যালিন ২০১৩, ২০১৯ এ আসে ঘূর্ণিঝড় ফণী, ২০১৭তে আসে ঘূর্ণিঝড় ওখি, ২০২০তে আসে আম্ফান, ২০২১এ আসে তাকতে, আর ২০২১ এ আসে যশ।
No comments:
Post a Comment