দেশের রেল বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম এবং এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক। এই রেলওয়ে নেটওয়ার্কে হাজার হাজার রেলওয়ে স্টেশন রয়েছে। এই স্টেশনগুলির প্রত্যেকটির নিজস্ব বিশেষত্ব রয়েছে, যা সেই বিশেষত্বের কারণে খুব বিখ্যাত। এর মধ্যে কিছু তাদের সৌন্দর্যের জন্য , কিছু বিপজ্জনক রাস্তার জন্য, কিছু আবার ভীতিকর হওয়ার কারণে বিখ্যাত।
এই স্টেশনে সন্ধ্যার পর সেখানে যে কেউ যেতে ভয় পায়। বলা হয় যে কোন কোন স্টেশনে রাতের বেলা আত্মাদের চিৎকারের শব্দ পাওয়া যায়। চলুন জেনে নেই তেমনই কিছু রেলওয়ে স্টেশন সম্পর্কে -
বারোগ রেলওয়ে স্টেশন:
এটি হিমাচল প্রদেশের সোলান জেলায় অবস্থিত। পাহাড়ের উপর অবস্থিত এই রেলস্টেশনটি দেখতে খুবই সুন্দর কিন্তু এটি দেশের অন্যতম ভীতিকর রেলওয়ে স্টেশন। এই স্টেশনের সম্পর্কে বলা হয় বারোগ টানেলটি ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়ার কর্নেল বারোগ নির্মাণ করেছিলেন। কোনও কারণে সুড়ঙ্গের পাশে তিনি আত্মহত্যা করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের বিশ্বাস, সেই থেকে কর্নেলের আত্মা সুড়ঙ্গে বাস করে।
চিত্তুর স্টেশন:
অন্ধ্র প্রদেশের চিত্তুর রেলওয়ে স্টেশনও ভূতুড়ে। বলা হয়, হরি সিং নামে এক সিআরপিএফ অফিসার এই স্টেশনে নেমেছিলেন। কিন্তু তাঁকে RPF কর্মী এবং TTE মারধর করে, এরপর তিনি মারা যান। তারপর থেকে তিনি বিচারের সন্ধানে সেখানেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে স্থানীয় লোকজনের ধারণা।
নৈনি স্টেশন:
উত্তরপ্রদেশের নৈনি রেলওয়ে স্টেশন নৈনি জেলের কাছে অবস্থিত। এই কারাগারে অনেক মুক্তিযোদ্ধা নির্যাতনের শিকার হন এবং শেষ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেন। বলা হয় যে তারপর থেকে ওই আত্মারা রাতে স্টেশনে ঘুরে বেড়ায়।
লুধিয়ানা স্টেশন:
পাঞ্জাবের লুধিয়ানাতে অবস্থিত লুধিয়ানা রেলওয়ে স্টেশনের একটি কক্ষ হল ভুতুড়ে। ওই কক্ষেই সুভাষ নামে এক রিজার্ভেশন কাউন্টার অফিসারের মৃত্যু হয়েছিল বলে জানা যায়। বলা হয় যে তিনি তাঁর কাজকে এতটাই ভালোবাসতেন যে মৃত্যুর পরেও এটি তিনি তাঁর কাজ ছেড়ে যাননি। তাই যখনই তাঁর জায়গায় কেউ বসতে চায়, তাঁর আত্মা বাধা দেয় তা করতে।
মুলুন্ড স্টেশন:
মুম্বাইতে অবস্থিত মুলুন্ড স্টেশনটি দেশের কয়েকটি ভুতুড়ে রেল স্টেশনগুলির মধ্যে একটি। এখানে আসা লোকজনের দাবি, সন্ধ্যার পর প্রায়ই এখানে চিৎকার ও কান্নার শব্দ পাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment