এবার বিবাহ পঞ্চমী ২৮শে নভেম্বর। মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রীরাম ও মা সীতার বিয়ে হয়েছিল।
এই দিনটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হলেও ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী এই দিনে বিয়ে ও বিয়ের মত শুভ কাজ করা হয় না। কথিত আছে, বিয়ের পর সীতাকে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছিল। মা সীতাকে যার জন্য বনবাস যেতে হয়, আর রাবণ মা সীতাকে অপহরণ করেছিলেন।
হনুমান যখন মা সীতার সন্ধানে লঙ্কায় এসেছিলেন, মাকে শ্রী রামের কাছে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে, কিন্তু মা সীতা হনুমানের সাথে ফিরে যেতে অস্বীকার করেছিলেন। কেন কী ছিল তার পেছনের কারণ? জেনে নেওয়া যাক-
হনুমান যখন সীতাকে শ্রীরামের কাছে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য অশোক ভাটিকায় আসেন, তখন মা সীতা তাঁর সঙ্গে যেতে অস্বীকার করেন এই বলে যে তিনি তাঁর স্বামীর ধর্ম পালন করছেন।
বাল্মীকি রামায়ণ অনুসারে, দেবী সীতা যদি হনুমানের সঙ্গে যেতেন, তাহলে অন্য কোন পুরুষকে স্পর্শ করা হত। নিজের ইচ্ছায় অন্য কোন পুরুষকে স্পর্শ করতে পারতেন না। এতে স্ত্রী ধর্ম ভেঙ্গে যেত।
মা সীতা জানতেন যে রাবণকে শেষ করার জন্যই ভগবান বিষ্ণু শ্রী রামের রূপে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। হনুমানের সঙ্গে গেলে শ্রীরামের উদ্দেশ্য অসম্পূর্ণ থেকে যেত। অধর্মের উপর ধর্মের বিজয়ের জন্য রামের লঙ্কায় আসা আবশ্যক ছিল। দেবী সীতা হনুমানের সাথে যেতে না চাওয়ার এটিও একটি কারণ ছিল।
দেবী সীতার বজরঙ্গবলীর সাথে না যাওয়ার দ্বিতীয় কারণ ছিল শ্রীরামের শক্তির প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা। যদি তিনি রাম ভক্ত হনুমানের সাথে চলে যেতেন তবে ভগবান রামকে ইতিহাসে দুর্বল বলা হত তাই রঘুকুলের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষায় তিনি এই পদক্ষেপ নেন।
No comments:
Post a Comment