২৫শে নভেম্বর আমরা নারী সহিংসতা নির্মূল দিবস' উদযাপন করি। কিন্তু জানেন কী এমনও অনেক দেশ আছে যেখানে নারীরা বিন্দু মাত্র সুরক্ষিত নয়। প্রতিদিন প্রায় ১৪০০ নারী ধর্ষণের শিকার হন। যদিও এমন অনেক ঘটনা আছে যেগুলো রিপোর্ট পর্যন্ত করা হয়নি। সেই দেশ কোন গুলো জেনে নেওয়া যাক-
দক্ষিণ আফ্রিকা:
এখানে প্রতি বছর প্রায় ৫ লক্ষ নারী ধর্ষণের শিকার হন। টিয়ার্স ফাউন্ডেশন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতি বছর দেশের ৪০ শতাংশ নারী জীবনের কোনও না কোনও সময় ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় শিশুরাও ধর্ষণের শিকার হয়। ধর্ষিত শিশুদের বয়স ১১ বছরের কম।
সুইডেন:
বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ধর্ষণের ঘটনায় আছে সুইডেন। এদেশের জনসংখ্যা মাত্র এক কোটির কাছাকাছি এবং প্রতি বছর প্রায় ১০ লক্ষ নারী ধর্ষণের শিকার হন। প্রতি চারজন সুইডিশ নারীর মধ্যে একজন ধর্ষণের শিকার। সুইডেনে ধর্ষণের ঘটনা সবচেয়ে বেশি। সুইডিশ ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ ক্রাইম প্রিভেনশনের মতে, প্রতি বছর এখানে ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে।
আমেরিকা :
জর্জ মেসন ইউনিভার্সিটির একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, এখানে আমেরিকায় প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন নারী ধর্ষণের শিকার হন। প্রায় ৪৩.৯% নারী যারা গত কয়েক বছরে কোনো না কোনোভাবে সহিংসতার শিকার হয়েছেন। তাদের অধিকাংশই ২৫ বছরের কম বয়সী নারী।
ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস :
ব্রিটেন চতুর্থ দেশ যেখানে ধর্ষণের ঘটনা সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। এনএসপিসিসি-র একটি প্রতিবেদন অনুসারে, যুক্তরাজ্যে ১৩ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে যৌন নির্যাতনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
আমাদের দেশ :
দুর্ভাগ্যবশত, এই তালিকায় আমাদের দেশের নামও রয়েছে। ধর্ষণের ক্ষেত্রে আমাদের দেশ চতুর্থ সর্বাধিক সংঘটিত অপরাধ। ২০২১ সালের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো অনুসারে, দেশে প্রতিদিন কমপক্ষে ৮৬ টি ঘটনা রিপোর্ট করা হয়।
নিউজিল্যান্ড:
ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল অনুসারে, নিউজিল্যান্ডেও ধর্ষণের অনেক ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। মিনিস্টার অফ জাস্টিস পাবলিকেশন রিপোর্ট অনুযায়ী, নিউজিল্যান্ডে প্রতি দুঘণ্টায় যৌন সহিংসতার একটি ঘটনা সামনে আসে। প্রতি তিনজনের একজন মেয়েকে ১৮ বছর বয়সের আগে কোনও না কোনও ধরনের যৌন সহিংসতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
কানাডা:
যৌন সহিংসতার ঘটনাও কানাডায় অনেক বেশি। প্রতি বছর এখানে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ যৌন সম্পৃক্ততার ঘটনা ঘটে।
No comments:
Post a Comment