বিহারের কৈমুর পর্বতের পাভরা পাহাড়ে ৬০৮ ফুট উচ্চতায় মা মুন্ডেশ্বরীর একটি অলৌকিক মন্দির রয়েছে। মা মুন্ডেশ্বরী সম্পর্কে বলা হয় যে আজও এখানে অলৌকিক ঘটনা ঘট মাকে দেখলে ভক্তের সব মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়।
এই মন্দিরের চারপাশে পাহাড় আর বন। এখানে পাওয়া শিলালিপি অনুসারে, এই মন্দিরটি প্রায় ৩৮৯ খ্রিস্টাব্দের। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, যে স্থানে এই মন্দিরটি নির্মিত হয়েছিল, সেখানে মা চন্ড-মুণ্ড নামক অসুরদের বধ করেছিলেন। তাই এখানে মা মুন্ডেশ্বরী দেবী নামে পরিচিত।
মা মুন্ডেশ্বরী মন্দিরে বলি দেওয়ার একটি অনন্য প্রথাও রয়েছে। এখানে যজ্ঞ পদ্ধতিকে সাত্ত্বিক যজ্ঞ পদ্ধতি বলা হয়। এখানে বলি দিতে ছাগল আনা হলেও প্রাণ নেওয়া হয় না। ছাগলটিকে মায়ের সামনে আনা হয়। এর পরে, পুরোহিতরা মায়ের মূর্তি স্পর্শ করে এবং ছাগলের উপর গোটা চাল দেওয়া হয়। বলা হয় তখন ছাগলটি অজ্ঞান হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর আবার গোটা চাল নিক্ষেপের প্রক্রিয়া হয়, তখন ছাগলটির জ্ঞান ফেরে। মা মুন্ডেশ্বরী মন্দিরে হওয়া এই অনন্য যজ্ঞ দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে লোক জন আসেন।
মা মুন্ডেশ্বরীর মন্দিরে গর্ভগৃহের ভিতরে একটি পঞ্চমুখী শিবলিঙ্গও রয়েছে। এই শিবলিঙ্গ দিনে তিনবার রং বদলায়। কথিত আছে যে এই শিবলিঙ্গ সকাল, বিকেল এবং সন্ধ্যায় বিভিন্ন রঙে আবির্ভূত হয়। এই শিবলিঙ্গ কীভাবে রং বদলাতে পারে তা কেউ জানা যায় নি।
No comments:
Post a Comment