কলকাতার বারুইপুরে প্রাক্তন নৌসেনা উজ্জ্বল চক্রবর্তী নিজের ২৫ বছরের ছেলের হাতে মৃত্যু বরন করেন। এই কাজে সাথ দেয় উজ্জ্বল চক্রবর্তীর স্ত্রী নিজে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উজ্জ্বল চক্রবর্তী প্রচুর মদ্যপান করে স্ত্রী ও ছেলেকে মারধর করতেন । তাই অতিষ্ট হয়ে ১৪ নভেম্বর ২৫ বছরের ছেলে খুন করে বাবাকে। হত্যার কথা যাতে কেউ জানতে না পারে, সেজন্য দুজনেই মৃতদেহ হাপিশ করার সিদ্ধান্ত নেয় তাঁরা।
এরপর পুলিশের কাছে বাবা উজ্জ্বল চক্রবর্তীকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে রিপোর্ট লেখায় ছেলে। তদন্ত শুরু করলে ১৭ নভেম্বর পুকুরে একটি বিকৃত লাশের কিছু টুকরো ভাসতে দেখা যায়। তদন্তে মৃতদেহটি প্রাক্তন নৌবাহিনীর উজ্জ্বল চক্রবর্তীর বলে জানা গিয়েছে। এরপরই মা-ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। যদিও পড়ে স্বীকার করে তাঁরা।
জানা গেছে ছেলে বাড়িতে করাত থাকায় বাবার দেহ বাথরুমে নিয়ে গিয়ে ৬ টুকরো করে, এবার সেই টুকরোগুলো ব্যাগে ভরে সাইকেলে করে ফেলে আসে। পুলিশ জানিয়েছে, একটি আবর্জনার স্তূপের নিচে থেকে দুটি পা আর দেহিমদান মল্লার একটি পুকুর থেকে মাথা ও পেট উদ্ধার করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment