রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এখন এমন এক পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে যেখানে পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে। এই পারমাণু যুদ্ধ কতটা ভয়ঙ্কর আর কবে এটি চালু হয়েছিল সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক -
পারমাণবিক বোমার আবিষ্কার:
এই প্রাণঘাতী অস্ত্র তৈরির সূচনা হয়েছিল ১৯৩৯ সালে, কারণ এটাই ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার সময়। সে সময় জার্মানির স্বৈরশাসক অ্যাডলফ হিটলার প্রায় সমগ্র ইউরোপে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিলেন। তাই আমেরিকার বিজ্ঞানীরা রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়ে জানায় যে হিটলারের সন্ত্রাসের কারণে পারমাণবিক বোমা তৈরি করা খুবই জরুরি। রাষ্ট্রপতির আদেশের পর আমেরিকায় পারমাণবিক বোমা তৈরির কাজ শুরু হয়।
আমেরিকান বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানী জুলিয়াস রবার্ট ওপেনহেইমারকে পারমাণবিক বোমার জনক বলা হয়। ১৯৪৫ সালের ১৬ই জুলাই তার তত্ত্বাবধানে আমেরিকায় প্রথম পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস আলামোস থেকে ২০০ মাইল দূরে আলামো গোর্ডোর উত্তরে মরুভূমিতে করা হয়েছিল।
পারমাণবিক বোমা চালানোর আদেশ কে দেবে:
প্রকৃতপক্ষে, দেশের প্রধানমন্ত্রী নিউক্লিয়ার কমান্ড অথরিটির (এনসিএ) প্রধান। তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পেলেই এনসিএ পারমাণবিক অপারেশন করে।
পারমাণবিক বোমা ফেলতে কী দরকার:
পারমাণবিক হামলা চালাতে স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করা হয়। এর একটি বিশেষ ধরনের কোড রয়েছে, যা ছাড়া পারমাণবিক হামলা করা সম্ভব নয়। পারমাণবিক হামলার প্রক্রিয়ায়, এই স্মার্ট কোড ছাড়াও, অন্যান্য অনেক গোপনীয় পদক্ষেপও নেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী এই কোড ব্যবহারের আগে মন্ত্রিসভা কমিটি, চিফস অফ স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ইত্যাদির সাথেও আলোচনা করেন। সবাই মিলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং অটল বিহারী বাজপেয়ীর সরকারের অধীনে ভারত পারমাণবিক বোমা পরীক্ষা করেছিল।
No comments:
Post a Comment